পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তাবলয় সৃষ্টি করা হয়েছে পুরো রাজধানী জুরে। পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্যের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই নিরাপত্তাবলয়। ডিএমপির পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে এ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। নগরবাসীর নিরাপত্তায় ডিএমপির ১৪ হাজারের মতো সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একইভাবে পুরো দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাবের ২৪৫টি পেট্রোল টিম কাজ করবে এবং ৫৬টি স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স নিয়োজিত থাকবে সারাদেশে। ইতোমধ্যে ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ নির্দেশনা ও র্যাব ডিজির নির্দেশনা পৌঁছে গেছে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় থাকবে। নেওয়া হয়েছে বাড়তি নজরদারি। নগরীর প্রতিটি পয়েন্টে থাকবে চেকপোস্ট। সন্দেহভাজন ব্যক্তি, গাড়ি, ব্যাগ মেটাল ডিটেকটর, ভেহিক্যাল স্ক্যানার ও ম্যানুয়াল চেকিংয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। পুরো রাজধানী জুরে থাকবে কয়েকস্তরের নিরাপত্তাবলয়।
রাজধানীতে পুলিশের আটটি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এবং র্যাবের পাঁচটি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নিজ নিজ এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করবেন। পোশাকধারী ছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা মাঠে থাকবে। ঢাকা মহানগরীর সবকটি প্রবেশ ও বহির্গমন পথে বাড়তি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশ-র্যাব সূত্র বলছে, কূটনৈতিক ও মতিঝিল ব্যাংক পাড়ায় পুলিশের বাড়তি নজরদারি থাকছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে গুলশান ও বারিধারার সব দূতাবাস এবং সংলগ্ন সড়কে থাকছে বাড়তি গোয়েন্দা নজরদারি। তবে ঈদের আগের দিন ও ঈদের দিন বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। জাতীয় ঈদগাহ মাঠে স্থাপন করা হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ঈদগাহ ময়দানের এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা আর্চওয়ে এবং পুলিশ চৌকি থাকবে। একইসঙ্গে ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াত, মোটরসাইকেলে টহল, ফুট পেট্রোল, অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক চেকপোস্ট ও তল্লাশি চৌকি থাকছে গোটা রাজধানীজুড়ে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার, আড়তের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে স্পর্শকাতর স্থান, সড়ক, স্থাপনা, মার্কেট, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনালে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ডাকাত, ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টিদের ধরতে পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ টিম মাঠে সক্রিয় রয়েছে।
এ ছাড়া ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে রাতের বেলায় বাড়ানো হবে পুলিশি টহল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বিভিন্ন বাস ও রেল স্টেশনে। পুরান ঢাকা ছাড়াও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার জুয়েলারি মার্কেটে থাকবে পুলিশের কড়া নজরদারি। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ফোর্স থাকবে। সাদাপোশাকেও নজরদারি থাকবে বিনোদন কেন্দ্রে। নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবছর দুটি ঈদে অসংখ্য মানুষ ঢাকা ত্যাগ করেন। এর ফলে ঈদের ছুটিতে রাজধানী অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। বাসাবাড়ি ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় চুরিও বাড়ে। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় ছিনতাইকারীরা তৎপর হয়। তাই ঈদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত মার্কেট কেন্দ্রিক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ঈদের দিন ঈদগাহ কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ঈদকে সামনে রেখে ঈদের আগে ও পরে দেশজুড়ে দুই সপ্তাহের নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে র্যাব। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সারা দেশে বাহিনীটির ২৪৫টি পেট্রোল টিম কাজ করবে এবং ৫৬টি স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কে বিশেষ টহল ও চেকপোস্ট থাকবে। এ ছাড়া যানবাহনের ওভারস্পিড, নিয়ন্ত্রণহীনতা ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের কড়া নজরদারিতে রাখা হবে। এদিকে সারাদেশে অবস্থা আপডেট রাখতে র্যাব হেডকোয়ার্টারের ফেসবুক পেজে চার ঘণ্টা পরপর সারাদেশের সব পথের অবস্থার আপডেট দেওয়া হবে। র্যাবের ১৪ ব্যাটালিয়নের ফেসবুক পেজেও তাদের আওতাভুক্ত এলাকার আপডেট থাকবে। মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে রাজধানীর এক্সিট পয়েন্টগুলোতে ২০টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য রাজধানীতে মোতায়েন থাকবে। পুরো নগরীতে ডিএমপির ১৪ হাজার সদস্যের একটি দল নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে থাকবে। পুলিশের টহল থাকবে। প্রতিটি পয়েন্টে চেকপোস্ট থাকবে। অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে পুরো নগরীতে নিñিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।