Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন

প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দিনভর সূচক ওঠানামার পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার দেশের উভয় পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এদিন ঢাকার বাজারে সূচক কমেছে ৩৩ পয়েন্ট, চট্টগ্রামের বাজারে কমেছে ৬৩ পয়েন্ট। সূচক পতনের পাশাপাশি এদিন কমেছে লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এছাড়াও কমেছে বাজার মূলধন। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহের টানা তিন কার্যদিবস দরপতন হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের সমন্বয় সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনীহার পাশাপাশি বাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রীর নেতিবাচক বক্তব্যের জেরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
স¤প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাক বাজেট আলোচনায় পুঁজিবাজারকে ‘লুটের বাজার’ বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ২০১০ সালের ধসের লুটেরাই এখনো বাজারের বড় পজিশনে বহাল রয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। ফলে শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির প্রবণতা বেশি থাকায় দরপতন হয়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। প্রাক বাজেট অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৩৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএস-৩০ সূচক ১০ দশমকি ৪৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ২১৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৯ কোটি টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে ৮৭ কোটি টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪২৫ কোটি টাকা।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে এসিআই। দিনশেষে কোম্পানিটির ২২ কোটি ২৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মবিল যমুনার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডরিন পাওয়ার। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- ইবনে সিনা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, কেয়া কসমেটিকস, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, আমান ফিড, এসিআই ফরমুলেশন্স।
অন্যদিকে এদিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ২১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। গত সোমবার লেনদেন হয়েছিল ২৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার বেশি।
এদিন সিএসইতে প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৬৯ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ১১৪ দশমিক ০১ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৪০৮ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ৮ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ৯৭৬ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ১১৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫০টির, কমেছে ১৫৬টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ডোরিন পাওয়ার, বেক্সিমকো লিমিটেড, মবিল যমুনা, কেয়া কসমেটিকস, বিএসআরএম লিমিটেড, এসিআই ফর্মূলা, ইউনাইটেড পাওয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইউনাইটেড এয়ার এবং লংকা-বাংলা ফিন্যান্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ