বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা বোর্ড (বেফাক)’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গতকাল এক বিবৃতিতে কওমী শিক্ষার সর্বোচ্চস্তর দাওরায়ে হাদীস (তাকমিল)-কে আল-হাইয়াতুল উলইয়া-এর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত, আল্লামা শাহ্ আহমাদ শফী দা.বা. ও শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের মতামত অনুযায়ী ইলামিক স্টাডিজ ও আরবী সাহিত্যে মাষ্টার্স (স্নাতকোত্তর ডিগ্রী)-এর সমমর্যাদা দিয়ে মন্ত্রীসভায় আইন অনুমোদন করায় মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। এ মোবারক কাজটি অনুমোদন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবর্গ, সচিববৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে তারা অভিনন্দন জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দাওরায়ে হাদীসের মান দেওয়ার ফলে কওমী শিক্ষার্থীদের খেদমতের পরিধি বৃদ্ধি পাবে। কওমী অঙ্গনের নতুন প্রজন্ম গুরুত্বপূর্ণ পদে আসিন হয়ে দেশ ও জনগণের খেদমতে যথার্থ ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবে। মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত আইন দ্রুতসময়ের মধ্যে সংসদে পাশ হবে বলে নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিবৃতিদাতা শীর্ষ ওলামায়ে কেরামগণ হলেন যথাক্রমে- বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলী, সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ার শাহ, সহ-সভাপতি মুফতী মুহাম্মাদ ওয়াক্কাস, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস,মাওলানা নূরুল ইসলাম খিলগাও, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামিদ মধুপুর, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু, মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতী নূরুল আমীন, মাওলানা মুনিরুজ্জামান, মাওলানা আব্দুল হক মোমেনশাহী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া আরজাবাদ, মাওলানা যোবায়ের আহমাদ সাহেব, মহাপরিচালক বেফাক। কওমী সনদের মান দেয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে আরো ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ওলামালীগের অভিনন্দন: কওমী শিক্ষা ব্যাবস্থার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদীসকে মাষ্টার্সের (স্নাতকোত্তর ) সমমান স্বীকৃতি দিয়ে মন্ত্রী পরিষদে বিল পাস করায় বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ জননেত্রী
শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ কেন্দ্রীয় কমিটির
সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল ইস্রাফিল।
গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের লাখো কওমী শিক্ষার্থীদেরকে দেশ ও রাষ্ট্রব্যাবস্থার কার্যক্রমে গুরুত্বপ‚র্ণ ভুমিকা পালন করার সুযোগ করে দিয়ে
শেখ হাসিনা ইতিহাসের পাতায় চির অমর হয়ে থাকবেন। আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগনের মান উন্নয়নে এবং ইসলামের সুমহান আদর্শকে আরো বেগবান করতে এটি
শেখ হাসিনার সুদুর প্রসারী চিন্তার বর্হিপ্রকাশ। তিনি আরো বলেন, কওমী সনদের স্বীকৃতির দাবী নিয়ে
বিএনপির সাথে জোট করেছিলেন একাধিক ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কিন্তু ফলাফল ছিলো শ‚ন্য।