পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিরোধীদের দমনের পথ বেছে নিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের কারাগারে ভরছে। গতকাল মঙ্গলবার এক সভায় তিনি একথা বলেন।
সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের মতো পুরনো রাজনৈতিক দল সম্পূর্ণভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে, তাদের কোনো রাজনীতি নেই। এই সরকার মূলত ভিন্নমতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের একটাই উদ্দেশ্যÑযেভাবে হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে।
গত শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে সাংবাদিককে শফিক রেহমানকে ধরে নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের চক্রান্তের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) উদ্যোগে এই সভায় শফিক রেহমানের গ্রেফতারের সমালোচনা করে ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রতারণা করে অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১৯৭২-৭৫ পর্যন্ত সময়ের মতো এখনও গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। আজকে যখন ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে ৮৬টি মিথ্যা মামলা হয় তখন আমাদের সংবাদ মাধ্যমের মানুষরা বুঝতে পেরেছেন যে এই সরকার মূলত ভিন্নমত পোষণের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে; বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে যখন তিন বছর কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়, যখন একটার পর একটা মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়, তখন গণমাধ্যমের অনেকে চুপ ছিলেন, প্রতিবাদ করেননি। এখন প্রতিবাদ করার সেই সুযোগটাও চলে গেছে।
কারাবন্দি আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদের মুক্তিরও দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এক অবরুদ্ধ ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি, চারদিকে অস্বস্তিকর অবস্থা। যখন বিএনপি একটা সফল সম্মেলন করেছে, যখন বিএনপি গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছে, যখনই বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাঠপর্যায় চলে গেছে, তখনই সরকার গণতন্ত্রের সবগুলো পথ ও জানালাগুলো বন্ধ করে দিয়ে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েম করছে। দেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, মুক্ত হাওয়ায় বিশ্বাস করে, মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাস করে।
ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন তা-ব চলছে, আমাদের প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে, ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আর আমাদের নির্বাচন কমিশন একেবারে নির্বাক ও নিশ্চুপ বসে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গের উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে আজ মানবাধিকার বলে কিছু নেই। কথায় কথায় গুম করে দেওয়া হয়। আজ বিরোধীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছে না।
জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।