Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনাঞ্চলে প্রস্তুত কোরবানির পশুর হাটগুলো

১০ হাজার খামারে লক্ষাধিক পশু

আবু হেনা মুক্তি : | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বৃহত্তর খুলনায় ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবার অর্ধশতাধিক পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে খুলনা জেলার ৯টি উপজেলায় ২৬টি ও মহানগরে বসবে একটি কোরবানির পশুর হাট। বিভাগের সবচেয়ে বড় হাট শহরের জোড়াগেট পশুর হাটের উদ্বোধন করা হবে আগামী ১৬ আগস্ট। এ হাট চলবে ঈদের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত। চলতি বছর খুলনাঞ্চলে প্রায় দেড় লাখ কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী খুলনাঞ্চলে ১০ হাজার খামারে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে প্রায় লক্ষাধিক। তবে যা ঘাটতি থাকবে তা প্রতিবেশী জেলা উপজেলার পশু দিয়ে চাহিদা পূরণ হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের অভিমত।
সূত্রমতে, খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার অধিকাংশ হাটগুলোর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এসব হাটে নিজের খাটালে গরু আনতে শুরু করেছেন ব্যাপারীরা। হাজার হাজার মানুষের সমাগমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হবে এসব হাটে। তাই সবকিছু মাথায় রেখে এবার পশুর হাটে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার পরিকল্পনা করছে নিরাপত্তাবাহিনী।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) মো. আনিচুর রহমান বলেন, জেলার ৯ উপজেলায় মোট ২৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট বসবে। এরমধ্যে রূপসায় ৩টি, ফুলতলায় ১টি, পাইকগাছায় ৪টি, ডুমুরিয়ায় ৪টি, তেরখাদায় ১টি, দিঘলিয়ায় ৪টি, দাকোপে ২টি, কয়রায় ৬টি ও বটিয়াঘাটায় ১টি পশুর হাট বসবে। এসব হাটের ক্রেতা ও ব্যাপারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাদা পোশাকে পুলিশের পাহাড়া থাকবে। থাকবে জাল টাকা সনাক্তকারী মেশিন। পশুবাহী ট্রাকের চাঁদাবাজি ও পশুর হাটকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা কঠোর হাতে দমন করবে পুলিশ।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুণ কান্তি মন্ডল বলেন, তালিকার বাইরেও প্রত্যন্ত এলাকার খামারিরা কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করেছেন। তারপরও কিছু পশুর ঘাটতি রয়েছে। তবে খুলনার সবচেয়ে বড় জোড়াগেট পশুর হাটের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দু’একদিন আগে বিক্রি শুরু হয়। এই সময়ের মধ্যে নড়াইল কালিয়া, সাতক্ষীরা ও যশোর এলাকা পশু খুলনায় আসতে শুরু করে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে খুলনার হাটে ভারতীয় গরুর দেখা মেলেনি। আর এই সময় ক্রেতারা ভারতীয় গরু কিনতে আগ্রহী হয় না।
সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, মহানগরের জোড়াগেট পাইকারি কাঁচাবাজারে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবারও একমাত্র কোরবানির পশুর হাট পরিচালনার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ঈদের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাট বসবে। এদিকে জোড়াগেট পাইকারি কাঁচা বাজারে কুরবানির পশুর হাট শুরুর অনেক আগেভাগেই পশু বিক্রেতারা তাদের নিজ নিজ জায়গা নির্ধারণে তৎপর হয়ে উঠেছেন।
জানা যায়, ইতোমধ্যে চাঁদখালী, শাহপুর খর্ণিয়া, আঠারো মাইল, পারুলিয়া, বারোআড়িয়া সহ বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসেছে। তবে চাহিদার তুলনায় হাটে গরু আমদানির পরিমাণ কম। মূলত আশেপাশের জেলা-উপজেলা ও ভারতীয় গরুর ওপরে নিভরশীল হয়ে পড়েছে খুলনার পশুর হাট। এ কারণে পশুর দাম ওঠা-নামা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে কোরবানির ঈদের আগ মুহূর্তে গরুর আমদানি বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খুলনার রূপসা এলাকার খামারি আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার খামারে ১৭টি ষাঁড় রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি এক লাখ টাকা মূল্যের ষাঁড় রয়েছে।’ তিনি বলেন, বাজারে গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। নিয়মিত পশুদের পরিচর্যায় ব্যয় বেড়েছে। বাজারের বর্তমান যে অবস্থা তা বজায় থাকলে খামারিরা লাভবান হবেন। তবে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু এলে খামারিরা লোকসানে পড়বেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পশু

৮ জুলাই, ২০২২
৮ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ