নড়াইলের একটি মামলায়
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ তার এ জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেন নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ।
এরপর গত ৯ আগস্ট হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। গতকাল রোববার এর উপর শুনানি হয়। আজ খালেদা জিয়াকে এ জামিন দেয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট নড়াইলের আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল আহাদ শেখ এর আদালত।
গত ২ আগস্ট খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন আবেদনের শুনানি করেন।
এর আগে একাধিকবার খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেন নড়াইল সদর আমলি আদালত এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম (বর্তমানে জেলা পরিষদ সদস্য) বাদী হয়ে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে নড়াইল সদর আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের (২০১৫) ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্বব্য করেন।
এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়। পরে রায়হান ফারুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।