পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর উত্তরখান থানা এলাকায় এক মায়ের বিরুদ্ধে নিজের দেড় বছরের শিশুপুত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বলছে, শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যার পর মা নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। নিহত শিশুটির নাম নেহাল সাদিক। ঘটনার পর অভিযুক্ত মা ফাহমিদা মীর মুক্তিসহ বাবা সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ৮৫৯ মাস্টারপাড়ার চারতলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির লাশ ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উত্তরখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: রেজাউল করিম বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে সাজ্জাদ ও ফাহমিদার বিয়ে হয়। দু’জনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হতো। একজন আরেকজনকে সন্দেহ করতেন। এর জের ধরে সোমবার রাতে মা তার শিশুসন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। লাশ উদ্ধারকালে শিশুটির শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির মা-বাবাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন মা মুক্তি। সন্তানকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। তাকে পুলিশ প্রহরায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, ফ্ল্যাটের শয়নকক্ষে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেটে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই দম্পতির প্রতিবেশী নাজনীন সুলতানার ভাষ্য, সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে স্বামীর সন্দেহ ছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সাজ্জাদ হোসেন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় শিশুর মা ফাহমিদা মীর মুক্তিকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।