পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইএস ডিবি) পাকিস্তানের ইমরান সরকারকে ৪শ’ কোটি ডলার ঋণ দেবে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছার প্রেক্ষিতে তা পুনরুদ্ধারে পাকিস্তান সউদী সমর্থিত আইএস ডিবির কাছ থেকে এ ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করছে।
দু;জন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার দি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নেয়ার পর জেদ্দা ভিত্তিক ব্যাংক ইসলামাবাদকে এ ঋণ প্রদানের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিতে সম্মত হয়েছে। তারা বলেন, ইমরান খানের প্রস্তাবিত অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর এ প্রস্তাব গ্রহণ করবেন বলে তারা আশা করছেন।
ইসলামাবাদে একজন সিনিয়র উপদেষ্টা বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আইএসডিবি এ বিষয়ে অনুমোদন দেয়ার আগে নির্বাচিত সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের অপেক্ষা করছে।
কর্মকর্তা আরো বলেন, এ ঋণ পাকিস্তানের চলতি অর্থ বছরে পাকিস্তানের আর্থিক ঘটতি অন্যূন ২৫ বিলিয়ন ডলার মিটাতে পারবে না, তবে তা হবে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
এ সপ্তাহে ইস্যলামাবাদে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় আসাদ উমর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পরিস্থিতি মারাত্মক। আমরা ১০ বিলিয়ন ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংক মজুদ পেয়েছি এবং আমরা কোনো স্থান থেকে স্বল্প মেয়াদী ঋণ হিসেবে ৮ বিলিয়ন থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার পেয়েছি।
সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করছেন। আসাদ উমর বলেন, অন্যান্য পথও তার কাছে খোলা রয়েছে যার মধ্যে একটি হচ্ছে আইএসডিবি ঋণ। কর্মকর্তারা জানান, এ ঋণ প্রধানত তেল আমদানির অর্থ পরিশোেধে ব্যয় হবে।
আইএসডিবির সাথে আলোচনায় সংশ্লিষ্ট পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেন, এ ঋণের পিছনে সউদী সরকারের সমর্থন রয়েছে। সউদী আরব পাকিস্তানকে বর্তমান সংকট থেকে উদ্ধারে অংশ নিতে চায়।
আইডিবির ঋণ পদানের প্রতিশ্রুতি সত্তে¡ও অর্থনীতিবিদরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে ইমরান খানের সরকারকে সম্ভাব্য অজনপ্রিয় ব্যয় কর্তন বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সরকারের ব্যালেন্স শিট মেরামতে সাহায্যের জন্য কর বৃদ্ধি করতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা ওয়াকার মাসুদ খান ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, গত অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ছিল জিডিপির প্রায় ৭ শতাংশ। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, এটাকে কমিয়ে ৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রায় আনার কাজ সহজ হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।