Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পাচ্ছে ৪ প্রতিষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মোবাইল টাওয়ার শেয়ারিংয়ের লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে ৪টি প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্সের জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ইডটকো বাংলাদেশ, টিএএসসি সামিট টাওয়ার, আইএসওএন টাওয়ার বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড ও এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) এক বিশেষ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। 

বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, দেশে টাওয়ার শেয়ারিং সেবা প্রদানের জন্য টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পেতে গত জুনে ৮টি প্রতিষ্ঠান কমিশনের কাছে আবেদন করে। এসব আবেদন ম‚ল্যায়নে গঠিত ১৫ সদস্যের কমিটি ম‚ল্যায়ন শেষে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে নম্বর দেয়। ৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কমিটির মূল্যায়নে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ৪টি প্রতিষ্ঠানকে টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হয়।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আবেদন করা ৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১ নম্বর পেয়ে যোগ্যতাক্রমে প্রথম হয় ইডটকো বাংলাদেশ। ইডটকো সরকার থেকে (এনওসি) অনুমতি নিয়ে বর্তমানে টাওয়ার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আজিয়াটা বারহাদ গ্রæপের একক মালিকানাধীন টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা প্রদানকারী সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ইডটকো।
৮৮ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে টিএএসসি সামিট টাওয়ার (স্থানীয় অংশীদার সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং বিদেশি অংশীদার টিএএসসি টাওয়ার এবং গেøাবাল হোল্ডিং কর্পোরেশন প্রাইভেট লিমিটেড)।
৮৫ নম্বর পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আইএসওএন টাওয়ার বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড (কৃত্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড)।
এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড ৮২ নম্বর পেয়ে ৪র্থ হয় (স্থানীয় অংশীদার এডিএন টেলিকম, এবি হাইটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, জেডএন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, সেনার্জি লজিস্টিক লিমিটেড, অরেঞ্জ ডিজিটাল লিমিটেড এবং বিদেশি অংশীদার রয়েছে চায়না কমিউনিকেশন সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং চ্যাংসু ফেনগফ্যান পাওয়ার ইকুইপমেন্ট কো লিমিটেড)।
এছাড়া যমুনা টাওয়ার লিমিটেড পায় ৮০, এফটিএ বাংলাদেশ লিমিটেড ৭৫, বিডি টাওয়ার বিজনেস কো লিমিটেড ৬৯ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেলিকমিউকেশন কোম্পানি লিমিটেড কোন নম্বর না পেয়ে ( বিদেশি কোন অংশীদার না থাকায়) অষ্টম অবস্থানে যায়। কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম চারটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স ইস্যুর জন্য বিবেচনার সুপারিশ করে এবং এ সুপারিশ কমিশন গ্রহণ করে।
এ চারটি প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে লাইসেন্স প্রদানে সরকারের প‚র্বানুমোদন নিতে কমিশনের সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
সারাদেশে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের মোবাইল ফোনের টাওয়ার রয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি। গত জানুয়ারিতে প্রণীত টাওয়ার শেয়ারিং নীতিমালা অনুযায়ী, টাওয়ার শেয়ারিংয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আলাদা কোম্পানি হবে। অপারেটরদের টাওয়ার এদের কাছে লিজ বা বিক্রি করা হবে পারস্পরিক সমঝোতায়। অপারেটররা ইচ্ছা করলেই পারস্পরিক টাওয়ার শেয়ার করতে পারবে না, থার্ড পার্টি বা টাওয়ার কোম্পানি তা করবে। ৫০ কোটি টাকা দিয়ে এ লাইসেন্স নিতে হবে, বার্ষিক নবায়ন ফি থাকবে ৫ কোটি টাকা এবং সরকারের সাথে রাজস্ব ভাগাভাগি হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ