পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও সমালোচকদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। একই সঙ্গে সংস্থাটি সরকারের সমালোচনা করার দায়ে আটক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শহীদুল আলমের ওপর পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করার আহবান জানিয়েছে। গতকাল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এসব কথা বলেছে। এতে বলা হয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বেআইনিভাবে হামলাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে সরকার শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করছে।
এতে বলা হয় যেসব মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক এসব নির্যাতনের খবর তুলে ধরছে, সরকার তাদের টার্গেটে পরিণত করেছে। বিবৃতিতে সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, আবারো বাংলাদেশের সরকার সমস্যা সমাধানের সহজ পথ হিসেবে নির্যাতনকে বেছে নিয়েছে। যারা এর সমালোচনা করছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত শান্তিপূর্ণ সমালোচনার কারণে শহীদুল আলমসহ যাদেরকে আটক করা হয়েছে, তাদের সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকসহ যারা লাঠি-সোটা ও রামদা নিয়ে আন্দোলনকারী শিশুদের ওপর হামলা চালিয়েছে, কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের বিচারের মুখোমুখি করা। ব্র্যাড অ্যাডামস আরো বলেন, শেখ হাসিনা সরকার যদি নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দলীয় গুন্ডাদের লেলিয়ে দিয়ে থাকেন, তবে তা হবে লজ্জাজনক বিষয়। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকদের ওপর সরকার দলীয় সমর্থকদের সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বাকস্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।
সংস্থাটি থেকে বলা হয়, আন্দোলনকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও ক্ষেত্র বিশেষে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আন্দোলনকারীদের সীমালঙ্ঘন না করতে সতর্ক করে দিয়েছেন। অন্যথায় পুলিশি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। বলপ্রয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী যেন মানবাধিকারের মৌলিক মানদন্ড অনুসরণ করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের বিবৃতিতে এক আন্দোলনকারীর দেয়া অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছে। ওই আন্দোলনকারী ৫ আগস্ট ঢাকার উত্তরায় আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ করেছেন। এদিন মোটরসাইকেল আরোহী কয়েকজন যুবক তাদের ওপর লাঠি-সোটা ও রামদা দিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে সমস্যা সমাধান করতে বলেছেন। ঢাকার অন্য এলাকাগুলোতেও একই ধরণের হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, হামলার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রায় ২০ জন সাংবাদিকও মারধোরের শিকার হন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের আটকের বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা বাড়ি থেকে আটক করে। আল জাজিরাকে একটি সাক্ষাতকার দেয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সাক্ষাতকারে তিনি ব্যাংক লুট, গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, গুম ও শিক্ষা খাতে দুর্নীতির বিষয় উল্লেখ করেন। পুলিশ তার বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করেছে। পুলিশি হেফাজতে তার ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে তার ওপর নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।