Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিতর্কিতদের কপাল পুড়তে পারে আ’লীগের সম্মেলনের পর

প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পরই বর্তমান মন্ত্রিসভার রদবদল হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সেই রদবদলে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন বিতর্কিত মন্ত্রীরা।
দলীয় নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনের মাধ্যমে পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, মন্ত্রিসভা এবং জেলা কমিটির মধ্যে ভারসাম্য আনা হবে। মন্ত্রিসভায় গতি আনতে বেশ কয়েকজন অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতা মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে যাচ্ছেন। দল ও মন্ত্রিসভা কীভাবে ঢেলে সাজানো যায়, তা নিয়ে হিসাব কষছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সামনে রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীদের কাজের হিসাব।
বর্তমান সরকার আমলের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অথবা সরকারকে বেশ কয়েকবার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছেন। প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে দুই মন্ত্রীর আক্রমণাত্মক বক্তব্যে বিভিন্ন মহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং আদালত অবমাননার শাস্তিও হয়েছে। কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ে কাজে বিশৃঙ্খলা এবং স্থবিরতার অভিযোগ রয়েছে। কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রয়েছে কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ এবং বিতর্কিত কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ। কোনো কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুর জমি দখল কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে রয়েছে অদক্ষতা ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ। দেশের রিজার্ভ থেকে চুরির ঘটনাও প্রধানমন্ত্রীর বিচার-বিশ্লেষণে রয়েছে। এরকম আরও অনেক বিষয়ের হিসাব-নিকাশ করেই প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় রদবদলের হিসাব কষছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে দল ও সরকারকে আরও গতিশীল করতে চান। এবার সম্মেলনের মাধ্যমে পার্টিতে তিনি দক্ষ স্বচ্ছ দায়িত্বশীল নেতৃত্ব নিয়ে আসতে চান। বাদ দিতে চান অদক্ষ কেন্দ্রীয় নেতাদের। একজনকে একাধিক দায়িত্বে না রাখার কথা ভাবছেন তিনি। এ কারণে আগামী কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেতৃত্বেও বেশ রদবদল হতে পারে। তিনি সবকিছু নিয়ে হিসাব কষছেন। তার সামনে রয়েছে মন্ত্রী এবং দলীয় নেতাদের গত কয়েক বছরের কার্যক্রমের হিসাব।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। সম্মেলনের মাধ্যমে পার্টির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে। মন্ত্রিসভার রদবদল প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে সম্মেলনে পর নতুন দায়িত্ব বণ্টনে দল ও সরকার আরও গতিশীল হবে।
অপর প্রেসিডিয়ামের সদস্য সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের মাধ্যমে টগবগে নেতৃত্ব আসবে। আসবে গতি। তারুণ্যে ঢেলে সাজানো হবে সবকিছু। তরুণ নেতৃত্বে দলীয় কর্মকা-ে নতুন রক্ত সঞ্চার হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ ও ১১ জুলাই আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিতর্কিতদের কপাল পুড়তে পারে আ’লীগের সম্মেলনের পর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ