পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সিনিয়র সাংবাদিক ও উপস্থাপক শফিক রেহমানকে গ্রেফতারকালে গণমাধ্যমের পরিচয় দিয়ে থাকলে তা ছিলো গোয়েন্দা পুলিশের কৌশলের অংশ। গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষবরণ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক এ কথা বলেন।
ডিবি পুলিশের এমন অভিনব পরিচয় প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘ডিবি পুলিশ গোয়েন্দা কৌশলের অংশ হিসেবে স্থান ভেদে হকার, ফকিরসহ নানা ছদ্মবেশ ধারণ করেন। সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেন আইজিপি।
গত ১৬ এপ্রিল বেসরকারি টেলিভিশন বৈশাখী টিভির পরিচয়ে ডিবি পুলিশ শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে। ক্রিমিনোলজি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষবরণ ১৪২৩ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি আরো বলেন, সাংবাদিক শফিক রেহমান গ্রেফতারে মিডিয়ায় কথা বলাই উচিত নয়। বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে। মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। অথচ সাংবাদিকতার নৈতিকতা ভুলে তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে টকশোতে ঝড় উঠছে। সব কিছু তারাই বলে দিচ্ছেন। গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জঙ্গী তৈরি করছে উল্লেখ করে শহীদুল হক বলেন, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও এখন জঙ্গী তৈরি হচ্ছে।
আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকেও একই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতারের আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডে নেওয়া মাহমুদুর রহমানের কাছ থেকে অন্য কারো নাম পাওয়া গেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। তাই এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী লুবনা মরিয়ম, একুশে টেলিভিশনের সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।