পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মীর মোশারফ হোসেন (রাজীব মীর), বর্ণনা ভৌমিক ও প্রিয়াঙ্কা স্বর্ণকারকে বিভাগের মাস্টার্স শ্রেণীর একাডেমিক ও অন্যান্য কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে জবি প্রশাসন। সহকারী অধ্যাপক মীর মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো: সেলিম ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল হয়রানির শিকার ওই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজীব মীরকে এমএসএস শ্রেণীর একাডেমিক ও অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য অফিস আদেশ জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে আরো দুই শিক্ষক বর্ণনা ভৌমিক ও প্রিয়াঙ্কা সরকারকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যখন রাজীব মীর ওই ছাত্রীকে হুমকি দেন তখন ওই দুই শিক্ষক তাকে সহায়তা করবেন বলে জানান যা মোবাইল রেকর্ডিং-এ আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, মাস্টার্সের ওই ছাত্রীকে রাজিব মীর অনৈতিক প্রস্তাব ও মোবাইল ফোনে তার কথামতো না চললে নম্বর কম দেয়ার হুমকি দেন। পরে ওই ছাত্রী ফোনের অডিও রেকর্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো: সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় এ ব্যাপারে এখনই মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। তবে একটি কথা সুস্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা অভিযোগকারী কিংবা অভিযুক্ত কারো পক্ষে অবস্থান নেব না, আমরা চাই সত্যটা উন্মোচিত হোক।’
এ ব্যাপারে জবি ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রাথমিক সুপারিশের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ আরো দুইজনকে মাস্টার্সের ক্লাস থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা তদন্ত প্রতিবেদনের পর নেয়া হবে।’
এর আগেও ২০১৪ সালরে ৬ এপ্রিল নিয়মিত ক্লাস না করা, ছাত্রীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ানোসহ নানা অভিযোগ এনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজীব মীরকে অপসারণ করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।