রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (৬ আগস্ট) দুপুরে তিনি হাইকোর্টে পৌঁছান।
জামিন আবেদনের প্রস্তুতির জন্য এরই মধ্যে আইনজীবীরা কাজ শুরু করেছেন। আবেদন প্রস্তুত হলেই যে কোনো একটি বেঞ্চে জামিন আবেদন করা হবে বলে জানা গেছে।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, যে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে তার নথি নিয়ে তিনি হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ছাত্রদলের কর্মীদের ঢুকিয়ে দিয়ে উত্তরায় এনা পরিবহনের দুই বাসে অগ্নিসংযোগ, জিগাতলায় আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর ও হামলা করে কর্মীদের আহত করেছে এমন অভিযোগে আজই (সোমবার)
বিএনপির শীর্ষ তিন নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম এইচ এম তোয়াহার আদালতে (সিএমএম) এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন,
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবির রিজভী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে শোনা যায় কুমিল্লায় অবস্থানরত নওমী নামে এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। নওমীকে তিনি বলছেন ঢাকা এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে।
অন্যদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও
রুহুল কবির রিজভীর হুকুমে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছাত্রদলের লোকজন ঢুকে পরে। এছাড়াও মির্জা ফখরুল ও
রুহুল কবির রিজভীর হুকুমে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মাঝে ছাত্রদলের কর্মীদের ঢুকিয়ে দিয়ে উত্তরায় এনা পরিবহনের দুই বাসে অগ্নিসংযোগ, জিগাতলায় আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর ও হামলা করে কর্মীদের আহত করেছে।
এই মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন।