পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের সরকার বলেছে, ব্রিটেনের রানীর মুকুটে বসানো জগদ্বিখ্যাত হীরা কোহ-ই-নূর ফেরত পাবার চেষ্টা ভারতের করা উচিত নয়, কারণ তা ‘চুরি করা হয়নি, বা জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়াও হয়নি।’
এ ব্যাপারে এক আবেদনের শুনানিতে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় উচ্চতম আদালতে বলেছে, কোহ-ই-নূর ব্রিটেনকে দেয়া হয়েছিল, চুরি করে নেয়া হয়নি। সলিসিটর জেনারেল রণজিৎ কুমার সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন, একশো পাঁচ ক্যারাটের এই হীরা ‘কোহ-ই-নূর’- যার অর্থ ‘আলোর পর্বত’ - ১৮৪৯ সালে ‘স্বেচ্ছায় ব্রিটেনের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে দিয়েছিলেন’ পাঞ্জাবের শাসক দুলীপ সিং। এরপর তা ব্রিটেনের রানী ভিক্টোরিয়ার মুকুটে বসানো হয় এবং এখন তা টাওয়ার অব লন্ডনে প্রদর্শনীর জন্য রাখা আছে। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে রানী এলিজাবেথ এই মুকুট মাথায় পরেন।
ভারতের বিভিন্ন মহল দীর্ঘ দিন ধরেই এই কোহ-ই-নূর ফেরত দেবার জন্য যুক্তরাজ্যের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু একটি সংস্থার করা এক আবেদনের জবাবে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ভবিষ্যত আইনসঙ্গত কোন দাবি জানানোর ক্ষেত্রে এটা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ‘অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস এন্ড সোশাল জাস্টিস ফ্রন্ট’ নামের আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে।
আকারে প্রায় একটি মুরগির ডিমের মতো বড় এই হীরাটির উৎস নিয়ে নানা রকম মত আছে। এর হাত বদলের ইতিহাসও অতি বিচিত্র।
অনেকের মতে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের একটি খনি থেকে এই হীরা প্রথম পাওয়া যায়, তারপর এটি দিল্লির খিলজী ও মোগল শাসকদের হাতে চলে যায়। মোগল সম্রাট শাহজাহান এই হীরাকে তার ময়ুর সিংহাসনে স্থাপন করেন।
পরে পারস্যের শাসক নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করে এই ময়ুর সিংহাসন এবং কোহ-ই-নূর পারস্যে নিয়ে যান। পারস্য সাম্রাজ্যের পতনের পর এই হীরা আফগানিস্তানের শাসকদের হাতে চলে যায়। তাদের কাছ থেকে এটি অধিকার করেন পাঞ্জাবের রাজা রণজিৎ সিং- যার পুত্র দুলীপ সিং এটি ব্রিটেনের হাতে তুলে দেন।
কয়েক বছর আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন দিল্লিতে এক প্রশ্নের জবাবে কোহ-ই-নূর ভারতকে ফেরত দেবার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটা যেখানে আছে আছে সেখানেই থাকবে।
ভারত ছাড়া পাকিস্তান থেকেও অনেকে কোহ-ই-নূর ফেরত দেবার দাবি করেছেন ব্রিটেনের কাছে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।