Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জনকন্ঠের মামলা বাতিলের আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : শ্লীলতাহানির শিকার এক নারীর নাম-ঠিকানা ও ছবি প্রকাশের ঘটনায় এক যুগেরও বেশি সময় আগে জনকণ্ঠ সম্পাদকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা একটি মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলা বাতিল প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ রায় দেন। ওই মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ায় নিম্ন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম চলতে এখন আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
আদালতে জনকণ্ঠের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শাহজাদা আল আমিন কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০১ সালে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ওই সময়ের এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় মামলা করেন এক নারী। ওই মামলার বাদীর ছবি প্রকাশ করে ২০০২ সালের ৪ ও ৫ জানুয়ারি জনকণ্ঠে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধনী) আইনের ১৪ (১) ও (২) ধারায় জনকণ্ঠ সম্পাদকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন ওই নারী। ওই আইনের ১৪ ধারায় সংবাদ মাধ্যমে নির্যাতিতা নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধের কথা বলা আছে।
১৪ (১) ধারা বলছে, “এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হইয়াছেন এই রূপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা তৎসম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোনো সংবাদপত্রে বা অন্য কোনো সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাইবে, যাহাতে উক্ত নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়।”১৪ (২) ধারায় বলা হয়েছে, এ বিধান লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদ- বা এক লাখ টাকা অর্থদ-, অথবা উভয় দ- হতে পারে।
বাদীর আইনজীবী মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, “আইনের বিধান অনুসরণ না করেই ওই নারীর নাম-ঠিকানা ও ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করে জনকণ্ঠ।”
অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০০২ সালের ১৯ জুন ওই মামলায় জনকণ্ঠ সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ, উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান, তখনকার নির্বাহী সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহমদসহ (মৃত) ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় বিচারিক আদালত। এরপর ওই মামলা বাতিল চেয়ে জনকণ্ঠ সম্পাদকসহ অন্যরা ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর আগের বছরই তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। তাদের আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০০৩ সালে হাইকোর্ট রুল ও স্থগিতাদেশ দেয়। পরে ওই রুলে পক্ষভুক্ত হন মামলার বাদী ওই নারী। রুলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল সোমবার আদালত তা খারিজ করে রায় দিল।
রায়ের পর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু বলেন, “আদালত রুল খারিজ করে দিয়ে মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি চলবে।”
জনকণ্ঠের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাহজাদা আল আমিন কবীর বলেন, “মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা করে আপিলের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জনকন্ঠের মামলা বাতিলের আবেদন হাইকোর্টে খারিজ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ