পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাবন্দি দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচীর দাবী জানিয়েছে বিএনপির তৃণমূল নেতারা। কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছোট ছোট শিশু-কিশোরদের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, দাবি আদায় করতে হলে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আন্দোলন ছাড়া চেয়ারপার্সনকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। আর চেয়ারপার্সনের মুক্তির আগে নির্বাচন নিয়েও কোন সিদ্ধান্ত না নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি তৃণমূল নেতারা আহবান জানান। এ ছাড়া এখন পরস্পরের প্রতি কোন দোষারূপ না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দ্রুত কর্মসূচী প্রণয়নের বিষযটি উল্লেখ করেন তারা। তৃণমূল নেতারা জামায়াতের বিষয়টিও ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে দলের তৃণমূল নেতাদের মতবিনিময় সভায় তারা এ পরামর্শ তুলে ধরেন। দিনব্যাপী এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গতকাল প্রথমদিন চারটি বিভাগের সাংগঠনিক নেতাদের সাথে দুই দফায় মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফার বৈঠক রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সাথে সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয়ে চলে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত। এর পর দ্বিতীয় দফায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের নেতাদের সাথে বৈঠক চলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। বৈঠকের প্রথম সেশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া উপস্থিত না থাকলেও তারা বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের নেতাদের বৈঠকে ছিলেন।
রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে বিভাগীয় অঞ্চলের নেতারা তাদের অবস্থান তুলে ধরে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। তৃণমূলের প্রতিকূল অবস্থা ব্যাখ্যা করে তার আলোকে আগামী দিনের কর্মসূচী দেয়ারও দাবি করেছেন। বৈঠকের বিষয়ে দলের উপস্থিত দলের শীর্ষ নেতারা কোনো কথা না বললেও জেলা থেকে আসা নেতারা কথা বলেছেন। দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আখতারুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে মতবিনিময়ে দলের চেয়ারপার্সনের মুক্তির বিষয়টি ছিল প্রধান ইস্যু। ম্যাডামের মুক্তির জন্য কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার কথা সবাই বলেছেন। তিনি বলেন, পরস্পরকে কোন দোষারূপ না করে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন করতে হবে। নিজেদের ঐক্য দৃঢ় রেখে জাতীয় ঐক্য গড়তে হবে। তিনি দলীয় আইনজীবীদের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, দলের নেতা কর্মীদের জামিনের বিষয়ে আইনজীবীরা আন্তরিক নন। এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের নজর দেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
বৈঠকে থাকা বিএনপি’র রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আমাদের শরিক দল জামাতে ইসলামকে নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। স¤প্রতি সিলেট সিটি নির্বাচনে বিএনপির বিরুদ্ধে গিয়ে জামাত বিদ্রোহী হিসেবে অংশগ্রহণ করে। তবে আমরা ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে বুঝিয়েছি, বিএনপি একাই যথেষ্ট। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য দলের চেয়ারপার্সনর মুক্তি। একই সাথে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক বলেন, দলের চেয়ার্পারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোন বিকল্প নেই। তার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিও ভাবতে হবে। আমাদের লক্ষ্য একটাই খালেদা জিয়ার মুক্তি। এ জন্য স্বল্প সময়ে জোরালো ও কার্যকর আন্দোলনের পক্ষে আমরা মতামত দিয়েছি। বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি বৈঠকে সাফ জানিয়েছেন তৃণমূল বিএনপি’র এই নেতা।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক এ জেড এম রেজাওনুল হক বলেন, আগামীতে দলের ইস্যুর বাইরে গিয়ে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ যেকোন যৌক্তিক দাবির পক্ষে দলের জোরালো অবস্থানের বিষয়ে কথা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, উপস্থিত বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা দলের তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য নোট নিলেও তাদেরকে তাতক্ষণিক কোনো জবাব দেননি। তারা মনযোগ সহকারে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য শুনেছেন। প্রতি জেলা থেকে আগত নেতাদের দুইজন করে মোট ৩২ জন বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। তারা তাদের নিজ জেলার সাংগঠনিক অবস্থান তুলে ধরাসহ আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে নিজস্ব মতামত তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন, জাতীয় নির্বাচন আর দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে তৃণমূলের মতামত নিতে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করছে বিএনপি। আজ এ বৈঠক শেষ হবে। আজ সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা এবং বিকেল ৩টা থেকে হবে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর সাংগঠনিক বিভাগের নেতাদের সাথে বৈঠক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।