পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে অভিভাবকরা নেমে আসে রাজপথে। রাজধানীর একাধিক স্থানে অভিভাবকরা অবস্থান নিয়ে গতকাল আন্দোলনের সাথে একাত্মতা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাজধানীর উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা বাচ্চাদের ধরে রাখতে পারিনি। ওদের মাথায় আমাদের চেয়ে অনেক ভাল বুদ্ধি। ওদের কাছে আমরা গাধা। আমাদের উপায় নাই। বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা নেমেছি। বাচ্চারা যা করছে আমরা তা করতে পারিনি। দেখেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে রাজনীতিতে ফেলে দিয়েছে। আমরা কোন রাজনৈতিক দল নই। আমরা পেট নীতি করি। পুলিশ-আর্মি-র্যাব, মন্ত্রী-মিনিষ্টার যা ইচ্ছা তাই করবে। আর হবে না। আর হবে না। শান্তি এই দেশে ফিরিয়ে আনবোই। একাত্তরের মত আমরা যদি মরেও যাই, রক্তাক্ত হই তবুও কেউ ফিরবো না। ওই অভিভাবক বলেন, ‘আজকে যে পর্যায়ে নেমেছে। তার চেয়েও কঠিন ও ভয়াবহ পর্যায়ে নামবে। আমরা আজ শিক্ষিতরা নেমেছি। বুয়ারা কি বলেছে জানেন, তারাও দা-কাচি-বটি নিয়ে নামবে। রাস্তায় নামতে দিবে না আমরা আমাদের বাসার সামনে নামবো। রাস্তাটাও কারো বাপের না। শুধু বাপের বিচার করলে হবে না, সমস্ত কিছুর বিচার করতে হবে। তারপর হবে একটা সুন্দর রাষ্ট্র। আমরা স্বাধীন, আমরা মুসলিম কান্ট্রি। হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ নেই এখানে। কিন্তু মুসলিম দেশে মুসলমানরা আজ নিরাপদ নয়। আমার স্বাধীন রাষ্ট্রে স্বাধীনতা আজ কোথায়? স্বাধীনতা নাই। কোন কিছু নাই। আমি চাই, আমরা সমস্ত মায়েরা চাই। এখানে হাজারও মা’রা ছড়িয়ে আছেন। মিডিয়ার কাছে অনুরোধ সত্য, নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ করবেন।
বিএনএস সেন্টারের সামনে অপর এক অভিভাবক বলেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সবাই আছে। সবার সমর্থন আছে। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ, শারীরিক-মানসিক সবরকম সমর্থন আছে। অপর এক অভিবাবক বলেন, আমি শুধু বাচ্চার জন্য নই; ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আসছি। এই আন্দোলন শুধু ওদের জন্য নয় আমাদের সবার জন্য। আমি সাপোর্ট করছি। ওরা কোন অন্যায় করছে না। অপর এক অভিভাবক বলেন, ‘আমরা ন্যয় বিচার চাই। নিরাপদ সড়ক চাই।’ একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল ক্ষোভের সাথে বলেন, আমি প্রতিদনই আমার পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন। রাস্তায় কখন দুর্ঘটনা হয়। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই। নিরাপদ সড়ক চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।