পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ‘কুয়েট-এ ব্রান্ড নেম ইন হায়ার এডুকেশন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে খুলনায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কাজী হামিদুল বারী, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড.মিহির রঞ্জন হালদার, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড.মোঃ আব্দুর রফিক, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির পরিচালক প্রফেসর ড.বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ, ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্ট এন্ড পাওয়ার টেকনোলজী এর পরিচালক প্রফেসর ড.এ এন এম মিজানুর রহমান পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া ও রেজিস্ট্রার জি এম শহিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কুয়েট ভিসি বলেন, ১৯৭৪ সালে তিনটি বিভাগ, ১২০ ¯œাতক ছাত্র ও ১ জন ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই বিদ্যাপীঠে ২০১০ সালের ২১ জুলাই ভিসি হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ কালে ১২ টি বিভাগে ২২৭৯ জন ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর শিক্ষার্থী ছিল। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ টি ইনস্টিটিউট, ২০ টি বিভাগ, ৪৬২৭ জন ¯œাতক ও ১০৭৩ জন ¯œাতকোত্তর শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী রয়েছেন ৮৯৩ জন।
গত আট বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে কুয়েট ভিসি বলেন, কুয়েটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিকস এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, আরবান ও রিজিওনাল প্লানিং, আর্কিটেকচার, বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনার্জি সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এছাড়া এ শিক্ষাবর্ষে চালু হচ্ছে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। তিনি আরো বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রস্থলে নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘দুর্বার বাংলা’, দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার, খনন করা হয়েছে লেক। সম্পন্ন হয়েছে মেইন গেট কমপ্লেক্স, স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার কাম ক্যাফেটেরিয়া, গেস্ট হাউজ, মেডিকেল সেন্টার, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন, আবাসিক ভবন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, নিউ একাডেমিক ভবনের সম্প্রসারণ, ডরমিটরির সম্প্রসারণ, প্রশাসনিক ভবনের সম্প্রসারণ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের সম্প্রসারণ, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের সম্প্রসারণ, মসজিদের সম্প্রসারণ, রোকেয়া হলের সম্প্রসারণ, পরিকল্পনা ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের সম্প্রসারণ। নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু চত্বর, ইউআরপি ভবন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন, মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। মেইন গেট দিয়ে প্রবেশ করেই ঢিবির ওপর লেখা কুয়েট সকলকে মুগ্ধ করে। বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের প্রতিপাদ্য-গ্রীন কুয়েট, ক্লিন কুয়েট।
কুয়েট ভিসি ২০১০ সালের ২১ জুলাই দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সাংবাদিকদের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের পর ভিসি কুয়েট নিয়ে নির্মিত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।