পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) খামখেয়ালি’র দরুণ রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা ১ নং-গেইটস্থ বায়তুল ইজ্জত জামে মসজিদের বেহাল অবস্থা। জামে মসজিদটি’র নিজস্ব জমি এবং উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকা সত্তে¡ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) অনুমতি না থাকায় সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। গত ৩বছর ধরে উন্নয়ন কাজ না হওয়ায় একেবারে বেহাল অবস্থা মসজিদটির। ফলে স্থানীয় মুসল্লীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মসজিদের মোত্তয়ালী আব্দুল লতিফ সর্দার জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকা-ডেমরা মহাসড়কের কাজের উন্নয়নের স্বার্থে মসজিদটিকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিতে পরিচালনা কমিটির কাছে চিঠি দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এর দুইদিনের মধ্যে মসজিদ কমিটি মসজিদের সমপরিমান জায়গা আশপাশের ফাঁকা জমি থেকে অধিগ্রহন করে মসজিদ স্থানান্তরের ব্যাবস্থা করার অনুরোধ জানিয়ে পাল্টা চিঠি দেয় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে। এরপ্রেক্ষিতে জমি অধিগ্রহনের মাধ্যমে মসজিদ স্থানান্তরের বন্দোবস্ত হবে বলে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে আস্বস্থ করে। পাশাপাশি নতুন জমি না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান মসজিদের জমিতে নতুন করে কোন কাজ না করার নির্দেশ দেয় ডিএসসিসি‘র কর্মকর্তারা। কিন্তু গত তিন বছরে নতুন জমিও দিচ্ছেনা আর বর্তমান জমিতে কাজ করারও অনুমতি দিচ্ছেনা। ফলে গত তিন বছর ধরে মসজিদের কোন কাজ করানো যাচ্ছেনা। এব্যাপারে ডিএসসিসি‘র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে এর সমাধানের জন্য গেলে পাত্তা দিচ্ছেনা। বিষয়টি তাদের হাতে নেই, ভুমি মন্ত্রনালয়ের হাতে আছে বলে সময় ক্ষপেন করছেন।
তিনি আরো বলেন, মসজিদটি নিজস্ব জমিতে স্থাপিত এবং সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য ফান্ডে পর্যাপ্ত অর্থও আছে। উন্নয়ন কাজের জন্য সরকারী কোন অনুদানের আপাতত প্রয়োজনও নেই্ । শুধু প্রয়োজন উন্নয়ন কাজে করার অনুমতির ।
এব্যাপারে মসজিদ স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী মোঃ বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে কয়েকদফা যোগাযোগ চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এবিষয়ে জানতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম অনুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে মসজিদে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অযুখানায় কাজ না হওয়ায় একবারে পিচ্ছিল ও স্যাতস্যাতে অবস্থা হয়ে গেছে। একারণে প্রবীণ অনেক মুসল্লী প্রতদিনিই পড়ে গিয়ে ব্যাথা পাচ্ছেন। আর বাধরুমে যাওয়ারই কান অবস্থা নেই। রাস্তা থেকে মসজিদটি নেমে যাওয়ায় বাথরুমের মল উপরে ভাসছে। নোংরা এসব বাথরুমগুলো কোন মুসল্লীর ব্যাবহার করতে পারছেনা। এঅবস্থায় স্থানীয় জনগনের দাবী, স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে সিটি কর্পোরেশন যাতে মসজিদের সংস্কার কাজের অনুমতি দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।