পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রাজাকারের বাচ্চা নয়, ওরা এই দেশেরই সন্তান’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের যারা অপমান করে, তাদের দুই চড় মারা উচিত। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সিনিয়র সদস্য প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ৮৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘কয়লা চুরি, ব্যাংক ডাকাতি, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি বন্ধ করে ভোটাধিকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের ছেলেরা ন্যায্য প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছে। সরকারি চাকরিতে সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া তাদের মৌলিক অধিকার। ’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ জীবন দিয়ে এই অধিকার অর্জন করা হয়েছে। তরুণ সমাজের ওপর আক্রমণ এটা লজ্জার বিষয়। এই ছাত্ররা কোনো পকেট ভারী বা লুটপাট চাচ্ছে না। তারা বলছে সংস্কার করো।
মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়, বিকৃতভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরা হয় বলে অভিযোগ করেন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, যারা আজকে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম নিয়ে ব্যবসা করে, তারা এ কথা ভুলে গেছে যে মুক্তিযোদ্ধারা কী মানসিকতা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা ব্যবসা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেনি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ওপর ভর করে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে হবে, দুর্নীতিবাজদের ওপরে না। অনেকে সেটা ভুলে গেছে, আমরা যাইনি। বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন দেশকে ভোগ করার জন্য জীবন দিয়ে যাননি। তাঁরা নীতির ব্যাপারে আপস করেননি। কিন্তু তাঁদের ও তাঁদের দলের নাম ভাঙিয়ে যে জিনিস দেখতে হচ্ছে, তা অসহ্য। এটা বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হচ্ছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি হচ্ছে। ব্যাংক ডাকাতি হচ্ছে, কয়লা চুরি হচ্ছে। মাটি চুরিও হবে। কিন্তু এসব চুরির অপরাধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, তিনি প্রশ্ন রাখেন।
ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য নয়, দেশের মাটি মানুষকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতা নিয়ে পাগল হওয়ার কিছু নেই। এটা চিরস্থায়ী না। এটা থাকলেই যা ইচ্ছা তা-ই করব, যাকে যা ইচ্ছা তা-ই বলব, এটা হয় না।
সভায় প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, দেশের সবার উচিত দেশপ্রেম, ত্যাগ, পরিশ্রম ও মানুষকে ভালোবাসা, এসব মূল্যবোধে অবিচল থাকা। এসব কাজে থাকলেই দেশের কল্যাণ সাধিত হবে, উন্নতি হবে।
আলোচনায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিমুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।