পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তিতে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তিতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় ধার্য ছিল। তবে এ সময়ের মধ্যে শুনানি শেষ করা সম্ভব না হওয়ায় আপিল বিভাগে এ বিষয়ে একটি রিভিউ আবেদন দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এখন আপিল বিভাগের এ আদেশে আপিল নিষ্পত্তিতে আরও তিন মাস সময় পেলেন খালেদা জিয়া।
এদিকে এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন ৮ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও মানহানি ও ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
গত ২৬ জুলাই চেম্বার বিচারপতি আবেদনটির শুনানির জন্য ২৯ জুলাই এ দিন ঠিক করেন। শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি শেষ করতে ৩১ জুলাই হাইকোর্টকে সময় বেঁধে দেন আপিল বিভাগ। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে শুনানি শেষ করা সম্ভব না হওয়ায় আপিল বিভাগে একটি রিভিউ আবেদন দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আদালত ওই আবেদনের শুনানি ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার রাখেন। তবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তি না হলে পরে সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ম অনুসারে গত বৃহস্পতিবার চেম্বার আদালতে আবেদন জানান তাঁরা। পরে চেম্বার আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য ২৯ জুলাই দিন নির্ধারণ করে দেন।
এর আগে গত ৯ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষ হয়। এর পর প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আবেদনটি মুলতবি রাখেন।
খালেদা জিয়ার জামিন ৮ আগস্ট জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ১১তম দিনের মতো শুনানি শেষে আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন ৮ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো তার জামিনের মেয়াদ বাড়লো হল। গতকাল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি মুলতবি করে এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবদুর রেজাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকে খুরশীদ আলম খান। এসময় খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আমিনুল হক, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জয়নুল আবেদীন, আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, এহসানুর রহমান, মির্জা আল মাহমুদ, রাগীব রউফ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সালমা সুলতানা সোমা, এম. আতিকুর রহমান ও ফাইয়াজ জিবরান প্রমুখ।
মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পাঁচ মাসের মাথায় গত ১২ জুলাই হাইকোর্টে করা এ আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। ওই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট থেকে চার মাসের জামিন পান তিনি, যা আপিল বিভাগে বহাল থাকে। ওই জামিনের মেয়াদ বাড়াতে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন হাইকোর্ট। এরপর ২৬ জুলাই পর্যন্ত জামিন বাড়ানো হয়, আবার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ জুলাই করা হয়। এখন আবার ৮ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে, অন্য মামলা থাকায় তিনি কারামুক্তি পাননি। খালেদা জিয়াকে ১২ মার্চ হাইকোর্টের দেয়া ৪ মাসের জামিনের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। ওই আপিলের শুনানি চলছে।
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি:
জিয়া চ্যরিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামী ৭ অগাস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামান। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এ আদেশ দিয়ে তিনি ৭ অগাস্ট যুক্তিতর্ক শুনানির দিন রেখেছেন। আগের মতোই কারাগারের পরোয়ানায় উল্লেখ ছিল, খালেদা জিয়া অসুস্থ। খালেদার জিয়ার আইনজীবী নূরুজ্জামান তপন বলেন, অসুস্থ বলে উনাকে (খালেদা) আদালতে আনা হয়নি। তবে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়া ইচ্ছা করে নিজ থেকেই আদালতে আসেননি।
দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন:
মানহানির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে দুই পক্ষের আইনজীবীদের তুমুল তর্কাতর্কি ও হৈ চৈ এর ঘটনা ঘটে । মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে এই ঘটনা ঘটে। পরে তিনি মামলা দুটিতে খালেদা জিয়ার জামিন দেন। জামিনের পক্ষে শুনানি করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। রাষ্ট্রপক্ষে শাহ আলম তালুকদার। শুনানি নিয়ে বিচারক আদেশ দেবেন জানানোর পর বিএনপির আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। বিচারক পরে আদেশ দেবেন জানালে এজলাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাৎক্ষণিকভাবে আদেশ দেয়ার দাবি জানিয়ে হৈ চৈ শুরু করেন। পরে বিচারক জামিনের আদেশ দেন। গত ৫ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম মানহানির ভুয়া জন্মদিন পালনের মামলায় এবং মহানগর হাকিম আহসান হাবীব যুদ্ধাপরাধীদের মদদদেয়ার মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।