Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে জামায়াতের সেই নেতার জামানত বাজেয়াপ্ত!

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কথিত ঘাঁটিতে মাটি হয়ে গেছে বাংলাদশে জামায়াত ইসলামীর ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে সিলেট সিটি করপোরেশ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন জামায়াত নগর জামায়াতের আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। ৩৪টি মামলা মাথায় নিয়ে নির্বিঘেœ, কর্মী সমর্থক নিয়ে চালিয়েছিলেন প্রচার প্রচারনা তিনি। বিশেষ করে ২০ দলীয় জোটের প্রধান দল বিএনপি প্রার্থীকে টেক্কা মেরে দেখাতে চাইছিলেন নিজেদের অপরিসীম শক্তিমত্তা তথা ভোট ব্যাংক। হিসেব নিকেশ করে বাজারে চাউর করেছিলেন সিলেটে মহানগরীতে জামায়াতের ভোট ৫০ হাজারের উপর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জামায়াতের থলি বলতে গেল শূন্যই প্রকাশ পেল। মাত্র ১০ হাজার ৯৫৪ ভোট পেয়েছে জামায়াত।
এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী জামায়াতের নেতার জামানত বাজেয়াপ্ত হল। জামায়াত নেতা ছাড়া জামানাত বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছেন র্আও ৪ প্রার্থী। ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন, বাসদ-সিপিবির মই প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবু জাফর, বিএনপির বিদ্রোহী বাসগাড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম ও হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. এহছানুল হক তাহের।
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা-২০১০ এর ৪৪ বিধির ৩ উপবিধি অনুযায়ী- ভোটগ্রহণ বা ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর যদি দেখা যায় কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাহলে তার জামানত সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। সেই হিসেবে মেয়র প্রার্থীদের জামানত টিকিয়ে রাখতে ২৪ হাজারের বেশি ভোট পেতে হবে। কিন্তু ৫ প্রার্থীর কেউই এ পরিমাণ ভোট পাননি।
ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন হাত পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৯৫ ভোট, সিপিবি-বাসদ মনোনীত প্রার্থী আবু জাফর মই প্রতীকে পেয়েছেন ৯০০ ভোট, নাগরিক কমিটির প্রার্থী মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম বাসগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৮২ ভোট এবং সচেতন নাগরিক সমাজের প্রার্থী মো. এহছানুল হক তাহের হরিণ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯২ ভোট।
এছাড়া স্থগিত হওয়া দুটি কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৮৭৭ জন। স্থগিত দুই কেন্দ্রের সবগুলো ভোট পেলেও এই পাঁচ প্রার্থীর কারোরই জামানত টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। সেকারণে তাদের জামানতের টাকা সরকারের কোষাগারে যাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি করপোরেশ নির্বাচন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ