পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে গাজীপুরের জয়দেবপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর গ্রাউন্ড স্টেশনের নামকরণ হয়েছে।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রাউন্ড স্টেশনের নতুন নাম ‘সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র’ ঘোষণা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ উদযাপন ও উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় মন্ত্রিপরিষদের একাধিক সদস্য রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স সেন্টার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন।
গত ১১ মে মহাকাশে সফল উৎক্ষেপণ হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের। তারপর দশদিন লাগে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর নিজ কক্ষপথে পৌঁছাতে। এরপর শুরু হয় স্যাটেলাইটের ইনঅরবিট পরীক্ষা।
প্রকল্পের পরিচালক মো. মেসবাহুজ্জামান জানান, মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর স্যাটেলাইটটি গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে সংকেত দিচ্ছে ও নিচ্ছে। তাই এর থেকে কাঙিক্ষত সেবা পেতে এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে সার্বক্ষণিক স্যাটেলাইটটির গতিবিধি ও অবস্থান পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার সমস্যা দেখা দেয়নি। এখান থেকে ট্র্যাকিং ও কন্ট্রোলিংয়ের কাজ হচ্ছে। ফুল সিস্টেমটি টেস্টিং করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল টেস্ট ও ট্র্যাকিংয়ের কাজ সফলভাবে সমাপ্তির পর যেকোনো সময় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কমার্শিয়াল অপারেশনে যাবে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করছে।
মেসবাহুজ্জামান আরও জানান, এটা হলো কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট। এর গ্রাউন্ড স্টেশনে হিউজ সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে। ভেতরে স্থাপিত আলাদা আলাদা ইকুইপমেন্ট ছাড়াও বাইরের পুরো সিস্টেম ছোট ছোট ইউনিটে ভাগ করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টেস্ট করা হবে।
বেতবুনিয়া এবং গাজীপুরে গ্রাউন্ড স্টেশনের ভেতরে ও বাইরে যত যন্ত্রাংশ স্থাপন করা হয়েছে যেমন অ্যান্টেনা, নেটওয়ার্ক সিস্টেমসহ বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট ছোট ছোট ভাগ করে টেস্ট করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে গ্রাউন্ড স্টেশন ও অ্যান্টেনা টেস্ট শেষ। এখন বিভিন্ন প্রসেসে স্যাটেলাইট টেস্ট করা হচ্ছে।
উৎক্ষেপণের পর নির্দিষ্ট দূরত্বে দ্রাঘিমাংশে (প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে ১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে) স্যাটেলাইটটি অবস্থান করছে। ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স-ইতালি থেকে স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণভাবে কন্ট্রোল করা হলেও বর্তমানে গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে ট্র্যাকিং এবং কন্ট্রোলিং করা হচ্ছে।
প্রকৌশলীরা এখান থেকে স্যাটেলাইটে সিগন্যাল পাঠিয়ে আবার তা রিসিভ করছে। প্রয়োজন হলে সিগন্যাল পাঠিয়ে স্যাটেলাইটটিকে (১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পজিশনে) নির্দিষ্ট অবস্থানে ধরে রাখার জন্য যা যা করা দরকার তা করছে। নিয়মিত ট্র্যাকিং ও কন্ট্রোলিং করা হচ্ছে। ট্র্যাকিংয়ের আন্ডারে অনেক এনালাইসিস আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।