পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে কোন লাভ হবে না জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সমস্যার সমাধান নাজিমউদ্দীন রোডে। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বলেন,'এখানে সেখানে এতো ঘুরাঘুরির দরকার কি? গাড়ি নিয়ে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে যান।সেখানে মিথ্যা মামলায় বন্দি বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসুন। সমস্যা আপনারা সৃষ্টি করেছেন সমাধান তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) করবেন।
সোমবার(৩০ জুলাই)দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত'বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ারও যুবদলের সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকুর নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন,'আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যা শুরু করেছেন আমি তাকে বলবো যদি দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে চান বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আলোচনায় বসেন। সিপিবির সাথে বাসদ-এর সাথে বসেছেন তার জন্য ধন্যবাদ কর্নেল অলির সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন তার জন্যও ধন্যবাদ।
এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন,'এক নম্বরের সাথে আলোচনা না করে ১০ নম্বর ২০ নম্বরের সাথে আলোচনা করে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের মিমাংসা হবে না।
ইতিহাসের প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন,'আইয়ুব খানের আমলে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এর আগে শেখ মুজিবকে আলোচনার জন্য করাচিতে নিয়ে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন,'শেখ মুজিবের কন্যা প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক লুট করেছেন, সোনা লুট করেছেন কয়লা লুট করেছেন আরো অনেক কিছুই লুট করেছেন গণতন্ত্র লুট করেছেন ক্ষমতা লুট করেছেন নির্বাচনও লুট করেছেন।
দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটকে রেখেছেন তাদেরকে মুক্তি দিন, মুক্তি না দিলে আমরা তাদেরকে মুক্ত করবো এখন আন্দোলনের কথা বলছি এক সময় জেল ভেঙ্গে তাদেরকে মুক্ত করে আনবো।
তিনি বলেন,'এই দেশে সবকিছুই হয়েছে পাকিস্তানিরা শেখ মুজিবকে আটকে রেখেছিল আইনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা হয় নাই,গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা হয়েছে। বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আমরাও প্রয়োজনে তাই করবো তার আগে আমরা আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি আলোচনার বসুন।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন,'প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন ভালো একটি নির্বাচন করার জন্য যে পরিবেশ সৃষ্টি করা দরকার তিনি তা করছেন না। বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা সেই অবস্থাটা কে ফিরিয়ে আনতে চাই আমরা এখন ভালো মানুষের মতো কথা বলছি আপনাদেরকে সুযোগ দিচ্ছি আলোচনার কথা বলছি যদি তা না করেন তারপরে আমরা রাজপথে নামবো রাজপথে যদি একবার নামি ডিসেম্বরের আগে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা মোকাবেলা করার জন্য আপনারা ভেবে দেখতে পারেন।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন,' এরশাদের সাথে কোন আলোচনা হয়নি নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর বিরোধী দলের সাথে আলোচনা করে নির্বাচন হয়েছে।আন্দোলনে গেলে এবারও কিন্তু শেখ হাসিনার সাথে কোন আলোচনা হবে না শেখ হাসিনা বাদে অন্যান্য রাজনৈতিক দল আলোচনা করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বলবো যে ভাবে আপনি নির্বাচনে যান বা ক্ষমতায় যান না কেন আমরা কিন্তু আপনার সাথে আলোচনার কথা বলেছি সেটা যদি আপনি মাথায় নিতে পারেন শেখ মুজিবারের কন্যা হিসেবে আপনার যদি কিছু করার থাকে অনতিবিলম্বে করুন তার প্রথম পদক্ষেপ হবে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া, দ্বিতীয় আলোচনার টেবিলে বসা, তৃতীয় হচ্ছে বাংলাদেশে যেসব মানুষের গুম করেছেন সে বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া তারা কোথায় আছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান,যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধক্ষ্য সেলিম ভূইয়া,সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী,টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির কোষাধক্ষ্য কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা মাইনুল ইসলাম,ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারন সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা,জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।