পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়ে ১২টি সংস্থা কাজ করলেও ক্লু উদ্ধারে দেশে এখনো কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ ফিলিপাইনে চুরি যাওয়া অর্থ নিয়ে সে দেশের সরকারও উদ্বিগ্ন। তারা একাধিকবার সিনেটে এ নিয়ে শুনানিও করেছে। দেশের তদন্তে অগ্রগতি বা ক্লু বের করতে না পারলেও থেমে নেই রিজার্ভ নিয়ে উচ্চবাচ্য। রিজার্ভ চুরির ঘটনা চাউর হওয়ার পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। যদিও পরে তার এ বক্তব্য টেকেনি। ঘটনার দীর্ঘদিন পর একটি ইংরেজি দৈনিকে তারই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন রিজার্ভ চুরির ঘটনায় নিযুক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হক কিউসি। তবে আগের মতোই এবারো বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে এখনো কোনো মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানানো হয়েছে। এদিকে বিশ্ব ব্যাংকের দুই প্রতিনিধি বিশেষজ্ঞ পকভিন স্টিভেনসন ও পিয়ানি মালিক বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতনদের সাথে গতকাল বৈঠক করেছেন। তারা রিজার্ভ চুরির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং অর্থ উদ্ধারে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা জরুরি ব্রিফিং করে ফেডারেল রিজার্ভের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা নাকচ করে দেন। একই সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের দুই প্রতিনিধির ঢাকা সফরের বিষয়ে জানান।
শুভঙ্কর সাহা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হক কিউসির বরাত দিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করার যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনকি অন্য কোনো দেশ বা সংস্থার বিরুদ্ধেও মামলার সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটা আজমালুল হক কিউসির ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ।
মুখপাত্র বলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনা উদঘাটনে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ রেখেই তদন্ত চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অংশ হিসেবে তারাও সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত আইনজীবী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিন্নমতের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শুভঙ্কর সাহা বলেন, ভিন্নমতের কোনো সুযোগ নেই। আইনজীবী হিসেবে রিজার্ভ চুরির বিভিন্ন কাগজপত্র আজমালুল হক কিউসিকে দেখানো হয়েছে। কাগজপত্র দেখে অ্যাসেসমেন্ট করে ব্যক্তিগত কথা বলতে পারেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে শুভঙ্কর সাহা বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের দুইজন প্রতিনিধি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন এবং চুক্তি অনুযায়ী সাইবার অ্যাটাকের মাধ্যমে স্থানান্তরিত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এ সময় বিশ্ব ব্যাংক প্রতিনিধিদের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক, ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক ও ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ ও এসব দেশগুলোকে বাংলাদেশের যেসব দূতাবাসগুলো আছে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন; এ সম্পর্কিত যত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তার সবই বিশ্ব ব্যাংককে জানানো হয়েছে। তারা অভিমত দিয়েছেন, এসব পদক্ষেপ যথার্থ।
শুভঙ্কর সাহা বলেন, ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত অর্থের সামান্য পরিমাণ আদায় হয়েছে, সেটা আনডিজভারইসড (ব্যাংক হিসাবে জমা) অবস্থায় ছিল। আর সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে যে অংশটা জমা দেয়া হয়েছে, তা ওই দেশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশকে ফেরত দেয়া হবে।
এদিকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটির অন্তবর্তীকালীন রিপোর্ট প্রদানের সময় প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরের ১৫ মার্চ তিন সদস্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই কমিটি গঠন করা হয়। গত ২২ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রথম অফিস করেন ড. ফরাস উদ্দিন। এ বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট এবং ৭৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরির ঘটনা খতিয়ে দেখতে গত ২৩ মার্চ নিয়োগ দেয় আইনজীবী আজমালুল হক কিউসিকে। তিনি গতকাল এক ইংরেজি দৈনিকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা জানিয়েছেন। ফেডারেল রিজার্ভ অব নিউ ইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারির ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।