পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি তথ্যনির্ভর নয়। আর এ প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার সঠিক প্রতিফলনও নয়। রিপোর্টটিতে তথ্যের ঘাটতি রয়েছে, ফলে সঠিক চিত্র উঠে আসেনি। কেননা, বাংলাদেশে গণতন্ত্র সংকুচিত নয়, এখানে উগ্রবাদীদের ছাড়া সব মতের জায়গা আছে। সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যা সমর্থন করে না। জঙ্গি দমনেও সরকার কঠোর; কোনো ছাড় দিচ্ছে না। তিনি বলেন, গণমাধ্যম চাপের মুখে নেই। এই প্রতিবেদনটি আরেকবার যাচাই করতেও সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তথ্যমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনকে ‘ভুল’ দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে ইনু এর সপক্ষে ব্যাখ্যা এবং বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। গতকাল রোববার দুপুরে তথ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতার কারণে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকতার বাইরে বিভিন্ন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই নীতি কার্যকর করছে। সংবাদপত্রে চর্চার জন্য, কাজ করার জন্য মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদ অথবা শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সুনির্দিষ্ট ও ভিন্ন অপরাধজনিত কাজের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। সেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ সুযোগ আছে। নির্দোষ হলে সসম্মানে বেরিয়ে আসবেন। এটা সংবাদপত্র, গণমাধ্যম বা আইনের শাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-সহ আইনবহির্ভূত বিভিন্ন কাজের জন্য র্যাবের আটশ’রও বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন।
ইনু বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের কোনো অধিকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই। এ ব্যাপারে তাদের কোনো আইনগত অধিকারও রাষ্ট্র দেয়নি বা সমর্থনও করে না। কেউ যদি বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ে বা আইনবহির্ভূত কোনো কাজে জড়িয়ে পড়ে তবে তার যথাযথ তদন্ত হয়, বিচার হয় ও দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তি হয়। র্যাবের আটশ’র বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কোন কোন অপরাধে এসব র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছেÑএমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে বিচারবহির্ভূত কাজের জন্য নয়, আইনবহির্ভূত কাজের জন্য, যেমনÑদুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি পদক্ষেপের আওতায় আসা র্যাব সদস্যদের তালিকা পাওয়া যাবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
ইনু বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্নেল, ওসি, এডিশনাল এসপি, এসপি কাউকে ছাড় দিচ্ছি না আমরা। সেদিক থেকে মনে করি ক্রমাগত আইনের শাসনের দিকে বলিষ্ঠ পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আইনের শাসন কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয় না। গণতন্ত্রে সব মতের জায়গা রয়েছে, জঙ্গিদের নেই। স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যমেও উস্কানি, মিথ্যাচার, খ-িত তথ্য ও পীত সাংবাদিকতার কোনো জায়গা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।