পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সৌমিত্র চক্রবর্তী, সীতাকুন্ড থেকে : সীতাকুন্ড কুমিরা ও বাঁশবাড়ীয়ায় উপকূল থেকে মিষ্টি পানির সন্ধানে লোকালয়ে এসে জনতার হাতে আটক হলো ৪টি চিত্রা (চিত্রল) হরিণ। গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণগুলি উদ্ধার করে পুনরায় বনে অবমুক্ত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে উপজেলার ছোটকুমিরা মসজিদ্দা এলাকায় একটি উপকূলীয় চিত্রা হরিণ দেখতে পায় স্থানীয়রা। হরিণটি মানুষ দেখে ভয়ে এদিক ওদিক ছুটছিলো। এতে কৌতহূলী জনতা এগিয়ে আসলে আরো বেশি ভয় পেয়ে সেটি ছুটে মসজিদ্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে যায়। সেখানে স্থানীয় এক যুবক হরিণটিকে আটক করে। প্রায় একই সময়ে অপর একটি হরিণ ঢুকে পড়ে কুমিরা সাগর উপকূলবর্তী এইচ এম.স্টিল নামক শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে। মসজিদ্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় সূত্রে হরিণ দুটি আটকের কথা জানতে পেরে কুমিরা রেঞ্জ অফিসের বন কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে হরিণ দুটি উদ্ধার করেন। মসজিদ্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম জানান, সকালে বিশালাকার একটি হরিণ স্কুলের ভেতর ঢুকে পড়লে এক যুবক হরিণটি আটক করে। এ খবর জেনে আমি দারোয়ানকে সেটি আটক করতে বলি। পরে প্রশাসন ও বন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে তারা এসে হরিণটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুমিরা বন বিভাগের রেঞ্জার মোঃ মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন, গতকাল সকালে প্রচন্ড গরমের কারণে মিষ্টি পানির সন্ধানে দুটি বড় আকারের চিত্রা হরিণ উপকূলীয় বন থেকে লোকালয়ে চলে আসে। একটি হরিণ জনতার ধাওয়া খেয়ে মসজিদ্দা স্কুলে ও অপরটি এইচ.এম স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে ঢুকে যায়। খবর পেয়ে আমি হরিণ দু’টি উদ্ধার করে দুপুরের দিকে বাকখালী এলাকার উপকূলীয় বনে অবমুক্ত করে দিয়েছি।
অন্যদিকে গতকাল আরো দুটি হরিণ আটক হয় বাঁশবাড়ীয়া উপকূলের আকিলপুর গ্রামের মধ্যে ও ফেরী ঘাটের কাছে। বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী জাহাঙ্গীর প্রতিবেদককে বলেন, সকালের দিকে বন থেকে এক সাথে বেশ কয়েকটি হরিণ সাগর উপকূলীয় ঘাটের কাছে এসে ছোটাছুটি করছিলো। এর মধ্যে একটি হরিণ জোয়ারের পানিতে আটকে গেলে ঘাটের লোকজন সেটি আটক করে আমাকে জানায়। এছাড়া আকিলপুরে আরো একটি হরিণ আটক হয়। আমি বিষয়টি বন বিভাগকে অবগত করলে তারা এসে হরিণগুলি নিয়ে যায় এবং বিকালে বাকখালী বনে সেগুলি অবমুক্ত করা হয়েছে বলে বনকর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সীতাকু- উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার মোঃ মোক্তারুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, গতকাল কুমিরা ও বাঁশবাড়ীয়া এলাকায় আটককৃত মোট ৪টি চিত্রা (চিত্রল) হরিণ আমরা উদ্ধার করে বাকখালী বনে অবমুক্ত করেছি। আটককৃত হরিণগুলির ওজন যথাক্রমে ৩৫ কেজি, ২২ কেজি, ১৭ কেজি ও ১৫ কেজি। তিনি বলেন, সীতাকু- উপকূলীয় বনে একসময় অল্প হরিণ ছাড়া হলেও এখন সেগুলি বংশ বিস্তার করতে করতে এত বেশি সংখ্যক হয়ে গেছে যে, অনেক হরিণ মাঝে মধ্যেই বের হয়ে চলে আসে। এছাড়া গরমে মিষ্টি পানি পান করতেও আসে অনেক হরিণ। এরকমই কোন কারণে হরিণগুলি এসেছে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে অক্ষত অবস্থায় সেগুলি উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।