Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্র ইরাক পুনর্গঠনে উপসাগরীয় দেশগুলোর আর্থিক সাহায্য চায়

প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র চায় ইসলামিক স্টেট উত্তর ইরাকের পুনর্গঠনে উপসাগরীয় দেশগুলো ইরাককে আর্থিক সাহায্য করুক। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার বলেন, তিনি ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সাথে লড়াইয়ে বিধ্বস্ত ইরাকের এলাকাগুলো পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় সাহায্য করার জন্য শনিবার উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি আহবান জানান। খবর রয়টারস। উপসাগরীয় দেশগুলোতে আঞ্চলিক সফরের শুরুতে শনিবার তিনি এ কথা বলেন। এ সফরকালে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই ও এ অঞ্চলে ইরানের পদক্ষেপসহ অন্যান্য প্রতিরক্ষা বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সউদি আরব ও উপসাগরীয় অন্যান্য দেশের নেতাদের সাথে সাক্ষাত করবেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সউদি আরবে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন ও বাদশাহ সালমানের সাথে সাক্ষাত করবেন।
আইএস ইরাকের এক তৃতীয়াংশ এলাকা দখল করে নিয়েছিল। ইরাকি বাহিনী কিছু এলাকা পুনর্দখল করেছে। যেমন আনবার প্রদেশের রাজধানী রামাদি। তবে তারা তা করেছে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর যাতে অধিকাংশ শহরই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
কার্টার বলেন, আইএস ইরাক ও সিরিয়ায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছে। তারা যেসব স্থান অধিকার করেছিল সেগুলো বিনষ্ট করেছে, ধ্বংস করেছে। সে শহরগুলো পুনর্নির্মাণ করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী তেলের দাম হ্রাস পাওয়ায় ইরাকের পুনর্গঠন প্রচষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
কার্টার বলেন, ইরাককে নতুন করে গড়ে তুলতে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক সাহায্য প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, আমরা যেমন এ তিনটি ক্ষেত্রেই সহায়তার বিষয়টি বিবেচনা করছি, আমরা চাই উপসাগরীয় দেশগুলোও তা বিবেচনা করুক। আমরা এ ব্যাপারে তাদের সাথে কথা বলব। উল্লেখ্য, তেলের মূল্য হ্রাস পাওয়ায় সউদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও অন্যান্য সুন্নী উপসাগরীয় দেশগুলো আর্থিক চাপের সম্মুখীন হয়েছে।
কার্টার আরো বলেন, ওয়াশিংটন ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চাপ আরো বৃদ্ধির পথ খুঁজছে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল জারফা বিমান ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আরে কিছু করার চেষ্টা করছি।
এ বিমান ঘাঁটিতে আইএসের সাথে লড়াইয়ের জন্য ২৫০০ মার্কিন সৈন্য, জঙ্গি বিমান ও রিকনশান্স বিমান রয়েছে।
মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জো ডানফোর্ড মার্চে বলেন, তিনি ইরাকে মার্কিন সৈন্য সংখ্যা র্বমানের ৩৮০০ জনের চাইতে আরো বাড়ানোর আশা করছেন। এ অতিরিক্ত সৈন্যরা মসুলে আইএসের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানে ইরাকি বাহিনীর সামর্থ বৃদ্ধি করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র ইরাক পুনর্গঠনে উপসাগরীয় দেশগুলোর আর্থিক সাহায্য চায়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ