পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ টি এম রফিক, খুলনা থেকে : পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ক্যাম্প এলাকায় পরিকল্পিতভাবেই আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বন সন্নিহিত লোকালয়ের সংঘবদ্ধ ৬ জন দুষ্কৃতকারী।
বন বিভাগ এসব দুষ্কৃতকে শনাক্ত করে গতকাল (রোববার) বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বান্দিাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় সুন্দরবনের ৭ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে বন বিভাগ বলছে, ‘ব্যক্তিস্বার্থে সুন্দরবনে আগুন লাগানো হয়’ এমন অভিযোগে ৬ দুষ্কৃতের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে। ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বাদি হয়ে বন আইনে আদালতে মামলাটি দায়ের করবেন। এ নিয়ে গত ১৪ বছরে ২০বার ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবনের গহিন অরণ্যে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলেও এই প্রথম বন বিভাগ দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো: সাইদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে আগুনের ঘটনা তদন্তে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী বন সংরক্ষক বেলায়েত হোসেনকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুন্দরবনের ধানসাগর স্টেশনে প্রতি বছর আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে বন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের আঙ্গুল খোদ এসিএফ বেলায়েতের দিকে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে নাংলী ক্যাম্প সংলগ্ন বনে পরিকল্পিতভাবে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট স্থানীয়দেরে সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে সুন্দরবনের ৮ দশমিক ৫৫ একর বনাঞ্চল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আরো ৬৬ একর বনাঞ্চলসহ জীববৈচিত্রের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির জিপিএস ডিভাইজের মাধ্যমে সুন্দরবন বিভাগ পুড়ে যাওয়া বনাঞ্চলের এই হিসাব বের করেছে। এ ঘটনার মাত্র ১৭ দিন আগে নাংলী ক্যাম্প এলাকায় আরো একটি আগুনের ঘটনায় পুড়ে যায় প্রায় দেড় একর বনভূমি।
এদিকে সুন্দরবন বিভাগ আগুনের ঘটনা তদন্তে গঠিত তিন সদস্যেদের কমিটি কাজ শুরু করেছে। সহকারী বন সংরক্ষক বেলায়েতকে এই তদন্ত কমিটির প্রধান করায় নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে সুন্দরবন সন্নিহিত লোকালয়ের মানুষের মনে নানা সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। সুন্দরবনের ধানসাগর স্টেশনে প্রতি বছর আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে বন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের আঙ্গুল খোদ এসিএফ বেলায়েতের দিকে। কয়েকটি অসাধু মৎস্য শিকারি চক্র প্রতি বছর বনে আগুন লাগিয়ে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে তারা আগুন লাগিয়ে বন পরিষ্কার করে মাছের বিল তৈরি করে। বর্ষা এলেই শুরু হয় ওই চক্রের মাছ ধরার উৎসব। বন কর্মকর্তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই চক্রের কাছে মৌসুমভিত্তিক অলিখিত ইজারা (লিজ) দেয় ওই বিলগুলো। সেখানে কারেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের জাল পেতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করা হয়। এর সঙ্গে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও বন বিভাগের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো: সাইদুল ইসলাম জানান, গত বুধবার সুন্দরবনে ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই অপকর্মের প্রমাণ পেয়েছে বন বিভাগ। বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার সুবিধার্থে বনে আগুন দেয়া হয়েছে বলে তথ্য-প্রমাণ পেয়ে বন বিভাগ মামলাটি করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।