পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ কেরানীগঞ্জে ৫ শত টাকার জন্য ছেলের গুলিতে খুন হয়েছে মো. মুনতাজ উদ্দিন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার কেরানীগঞ্জে হযরতপুর জগন্নাথপুর এলাকায়। নিহতের ছেলে মোকলেস উদ্দিন বলেন, আমার অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান। ৬ ভাই বোনদের মধ্যে সবার ছোট তমিজ উদ্দিন। আমার বাবা ক্ষেত থেকে শাক তুলে মায়ের সঙ্গে বসত ঘরে ছিল। এসমন সময় ছোট ভাই তমিজ উদ্দিন বাবার ঘরে প্রবেশ করে। আমার বাবা মায়ের কাছে ৫ শত টাকা চায়। আমার মা ছোট ভাইকে বলেন আমি তোকে পহেলা বৈশাখে অন্যের কাছ থেকে ধার করে ৫ শত টাকা দিয়েছি। সেই টাকা এখনও পরিশোধ করতে পারিনি। এখন তোর বাবা কোথা থেকে তোকে টাকা দিবে। এই নিয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে তমিজ উদ্দিনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার কোমর থেকে পিস্তল বেড় করে আমার বাবার বুকের ডান পাশে গুলি করে পালিয়ে যায়। আমার বাবাকে মুমূর্ষু অবস্থায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নেয়ার পথে সে মারা যায়। সে সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে চলাফেরা করতো। আমার পরিবারকে মাঝে মধ্যে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা পয়সা নিতো। তার কাছে অস্ত্র আছে বলে আমাদের জানা ছিল না। প্রতিবেশী আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, হযরতপুর ইউনিয়নের কুখ্যাত সন্ত্রাসী রানা মোল্লার সহযোগী হিসেবে কাছ করতো তমিজ উদ্দিন। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
প্রতিবেশী মানোয়ারা বেগম বলেন ও জাকিয়া খাতুন বলেন, একটি দরিদ্র পরিবারের যে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হয় এটাই হযরতপুরে প্রথম দেখা গেলো। হযরতপুর এখন সন্ত্রাসীদের আনাগোনা আগের তুলনায় বেশী। মুনতাজ উদ্দিন অনেক শান্ত লোক ছিল।
যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, রানা মোল্লা হযরতপুরে সন্ত্রাসীবাহিনী তৈরী করেছে। এর আগে হযরতপুর ইউনিয়নটি শান্ত ছিল। রানা মোল্লা এক সময় রাজধানীতে কিলার ছিল। প্রায় ৭ বছর হয় রানা মোল্লা হযরতপুরে এসে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য তমিজ উদ্দিন।
হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নাল বলেন, একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান তমিজ উদ্দিন। তার বাবা মুনতাজ উদ্দিন দিন আনে দিন খায়। তার বড় ছেলে দেখা শুনা করতো। তমিজ উদ্দিন ইয়াবা সেবী। এতো দরিদ্রপরিবারের সন্তানের কাছে পিস্তল থাকা এটা ভাববার বিষয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা সার্কেল এএসপি রামারন্দ বলেন, নিষ্ঠুর সন্তানের হাতে পিতা খুন হওয়ায় আমরা হতভাগ হয়েছি। এতো দরিদ্র যুবকের কাছে পিস্তল থাকা খুবই ভয়ঙ্কর। তাকে ধরতে পারলে বিষয়টি উৎঘটন করা সহজ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।