পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গø্যাক্সোস্মীথক্লাইন (জিএসকে) তার ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করেছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলেন একথা জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নকিবুর রহমান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে বিপনন এবং উৎপাদন শাখায় মিলিয়ে এক হাজার কর্মী রয়েছেন।
নকিবুর রহমান বলেন, জিএসকে বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবসা বন্ধ করলেও এর কনজ্যুমার হেলথ কেয়ার চালু থাকবে। জিএসকে সামাজিকভাবে ২০ ভাগ হেলথ কেয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার চালু রেখেছে তা ২০২০ সাল পর্যন্ত চালু থাকবে। এর টীকাদান ভ্যাকসিন সাপ্লাই চালু থাকবে। আমাদের সহকর্মী যারা ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে চাকরির ক্ষেত্রে তাদের সম্মানজনকভাবে বিদায় জানানো হবে। তাদের নতুন চাকরি পেতে সহায়তা করা হবে। তাদের এই দুঃসময়ে কোম্পানি তাদের সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, আমাদের কর্মীদের দক্ষতা রয়েছে। তাদের কাজ পেতে আমরা সহযোগিতা করব, এ লক্ষ্যে আমরা জব ফেয়ার করতে পারি।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এম আজিজুল হক বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক রিপোর্ট প্রকাশ করি। এখানে এর প্রফিটেবল সিনারিও দেখলে সেটা লাভজনকই মনে হবে। তবে এর পুরোটাই কনজ্যুমারের। এম আজিজুল হক বলেন, জিএসকে বাংলাদেশ থেকে উঠে যাবে না। এর একটা অংশ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেয়া হবে। তিনি বলেন, গতকাল (বৃহষ্পতিবার) জিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেড এর পরিচালনা পরিষদ কোম্পানিটির ফার্মাসিউটিক্যালস ইউনিটটি বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে প্রভাবিত সকল কর্মচারি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্মান এবং মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করতে এবং তাদেরকে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা করতে জিএসকে বদ্ধ পরিকর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।