পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘অবসরের পর রায় লেখা সংবিধান পরিপন্থী’ বলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সংবিধানসম্মত বলেছেন সুপ্রিমকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী এবিএম নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, যতক্ষণ না কোনো রায়ে বিচারপতি স্বাক্ষর করবেন ততক্ষণ রায় হবে না। অবসরের পর বিচারপতিরা কোনো জুডিশিয়াল অফিসার নন। যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী রায়ে স্বাক্ষর না করা পর্যন্ত তাকে রায় বলা যায় না এবং একজন বিচারপতি অবসরে যাওয়ার পর রায়ে স্বাক্ষরও করতে পারবেন না, রায় লিখতেও পারবেন না। এবিএম নুরুল ইসলাম বলেন, আমার বক্তব্য কোনো বিচারপতি বা জজ অবসরে যাওয়ার পর রায়ে স্বাক্ষর করতে পারবেন না বলে প্রধান বিচারপতি যা বলেছেন তা সঠিক এবং সংবিধানসম্মত। গতকাল দুপুরে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত’প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা তার প্রধান বিচারপতি হিসেবে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অবসরের পর রায় লেখা সংবিধান পরিপন্থী।’
এবিএম নুরুল ইসলাম আরো বলেন,‘সংবিধানের ৯৯ ও ১৪৮ অনুচ্ছেদে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য সমর্থন করে। ৯৯ অনুচ্ছেদে বিচারপতিদের অক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। অবসর গ্রহণের পর সুপ্রিমকোর্টের জজ হিসেবে তারা পুরোপুরি অক্ষম। পদ চলে যাওয়ার পর বিচারকের ক্ষমতা থাকে কী করে?’
এক প্রশ্নের জবাবে এবিএম নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে অবসরে যাওয়া বিচারকরা যেসব মামলার রায় লিখেছেন এবং রায়ে স্বাক্ষর করেছন আইনের চোখে তা সম্পূর্ণ বেআইনি।’
মামলা সিএভি রাখা প্রসঙ্গে সিনিয়র এ আইনজীবী বলেন, ‘অনেক মামলায় বিচারকরা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ বা সিএভি রেখে যান। এটা কতদিনের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হলো তা লেখা থাকে না। কিন্তু বিচারকদের শপথে আছে সম্ভাব্য সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে রায় দিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় দুই বছরেরও রায় লেখা হয় না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বহু প্রমাণ আছে, দুই থেকে তিন বছর আগে প্রকাশ্য কোর্টে রায় হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর রায় এখনো পর্যন্ত লিখিত আকারে প্রকাশ হয়নি’, যোগ করেন তিনি।
বিচারকদের সদিচ্ছাই পারে সময়মতো রায় প্রকাশ করতে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘নিম্ন আদালতে জজেরা স্টেনোগ্রাফার পান না। তারা সারারাত ভরে হাতে লিখে রায় প্রকাশ করেন। এখানে (সুপ্রিম কোর্টে) তো তারা (বিচারপতিরা) স্টেনোগ্রাফার পাচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘রায় দেরিতে প্রকাশের কারণে আমরা (আইনজীবীরা) মক্কেলদের কাছে বিভ্রান্ত হচ্ছি এবং দেশবাসী সুবিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’ ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ২০ বার উদ্যোগ নিয়েছি। তবুও এর কোনো সুরাহা হয়নি’ বলেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।