পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ৯ম দিনের মতো শুনানি শেষে আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন ৩১ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্দি করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো তার জামিনের মেয়াদ বাড়লো হল। গতকাল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ পরবতী শুনানি জন্য এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবদুর রেজাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকে খুরশীদ আলম খান। এসময় খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আমিনুল হক, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জয়নুল আবেদীন, আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, এহসানুর রহমান, মির্জা আল মাহমুদ, রাগীব রউফ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সালমা সুলতানা সোমা, এম. আতিকুর রহমান ও ফাইয়াজ জিবরান প্রমুখ।
এর আগে আপিল শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ২০০৬ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মাইনাস টু থিওরি বাস্তবায়ন করার জন্য এ মামলার সূচনা হয়। বুধবার বেলা ১১টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টার দিকে শুনানি শেষ হয়। তারপর আগামী ৩১ জুলাই রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তা মুলতবি করেন আদালত। গত ১২ জুলাই সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শুরু হয়। এই মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট থেকে ৪ মাসের জামিন পান তিনি, যা আপিল বিভাগে বহাল থাকে। ওই জামিনের মেয়াদ বাড়াতে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন হাইকোর্ট। এরপর ২৬ জুলাই পর্যন্ত জামিন বাড়ানো হয়, যা বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা। আবার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ জুলাই করা হয়েছে। তবে, অন্য মামলা থাকায় তিনি কারামুক্তি পাননি। খালেদা জিয়াকে ১২ মার্চ হাইকোর্টের দেয়া ৪ মাসের জামিনের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। এরপর গত ১৬ মে তা বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত।
নাইকো মামলার শুনানি ৩ সেপ্টেম্বর:
খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল কবীরের আদালতে মওদুদ আহমদের পক্ষে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। এদিন তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে এদিন তিনি নাইকো দুর্নীতির মামলার কিছু ডকুমেন্ট পেতে আবেদন করেন। প্রথমে আদালত তার সেই আবেদন নথিভূক্ত করেন। পরবর্তীতে সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন। ওই নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে মওদুদ আহমদ হাইকোর্টে যাবেন জানিয়ে সময় চান। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ঠিক করেন। এদিকে মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অন্য কারাগারে থাকার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। তিনি খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা প্রদান করেন। এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে বোরহান উদ্দিন, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা, জিয়া উদ্দিন জিয়া, হান্নান ভূঁইয়া, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।