পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
থ্রিজির পর চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতেই চালু হয়েছে ফোরজি সেবা। মোবাইল ফোন অপারেটরদের দাবি তারা ফোরজি সেবা দেশের সকল জেলা শহরে পৌঁছে দিয়েছেন। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন দেখা গেছে। ফোরজি’র প্রচারণা থাকলেও অধিকাংশ জেলা শহরে থ্রিজি’ই পাওয়া দুষ্কর। উপজেলায় তো থ্রিজি সেবা যায় আসে অবস্থা। কাক্সিক্ষত সেবা না পেয়ে অপারেটর ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির কাছে অভিযোগ জমছে প্রতিদিনই। অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে অনেকেই তাদের রাগ ও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। বিদ্যমান সেবাগুলোতেই যখন গ্রাহকরা কাক্সিক্ষত সেবা না পাচ্ছে না তখন এরই মধ্যে দেশে ফাইভ জি (পঞ্চম প্রজন্মের) পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে ও মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড। নিজেদের প্রযুক্তি ঝালিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠানটি এই আয়োজন করেছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ফাইভ জি’র টেস্ট রান করা হবে। এর আগে গত সপ্তাহ থেকেই হুয়াওয়ে নিজেদের অফিসেই এই প্রযুক্তি পরীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হলেও এর ফলাফল জানানো হয়নি। আজ প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে। এদিকে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তির পরীক্ষা করে এ খাতে চমক দিতে তৈরি হচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবিও।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্ব ফাইভ জি সামিটে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ফাইভ জি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক প্রদর্শনীর বিষয়ে গতকাল সজীব ওয়াজেদ জয় তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট একটি স্ট্যাটাসও দেন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, এ মুহূর্তে আমি ট্রাফিকে আটকে আছি। কিন্তু ঢাকাতে বসেই ঠিক আমেরিকার মতোই ফোর জি ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছি। আমরা কয়েক মাস আগে ফোর জি সেবা চালু করলেও ইতোমধ্যেই কাভারেজ বেশ ভালো বলে মনে হচ্ছে। এরজন্য টেলিকম কোম্পানিগুলোকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আওয়ামী লীগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আরেকটি মাইলফলক অর্জন। জয় লিখেছেন, ‘আগামীকাল বুধবার (আজ) সকালে আমরা ফাইভ জি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক প্রদর্শনী করবো। চোখ রাখুন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয়ের সাথে বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এর মধ্যে ফাইভ জি’র সফল পরীক্ষা চালাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন হুয়াওয়ের নামে এক সপ্তাহের জন্যে স্পেকট্রামও বারাদ্দ দিয়েছে। বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে তারা তিন মাসের জন্যে স্পেকট্রাম চাইলেও তা পরে মাত্র এক সপ্তাহের জন্যে অনুমোদন দেওয়া হয়।
যদিও বাংলাদেশের বাজার এখনো ফাইভ জি প্রযুক্তি ব্যবহারের পর্যায়ে যায়নি বলেও মনে করেন প্রযুক্তিবিদরা। তারা বলছেন, ওই সময় আসতে বাংলাদেশের আরো অন্তত চার-পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র দেশে ফোরজি ব্যবহার শুরু হয়েছে। এখনো দেশের সবগুলো শহরে ফোরজি প্রযুক্তির ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হয়নি। আর সব মিলে মাত্র ৪০ লাখের মতো সিম ফোরজিতে সংযুক্তি হয়েছে। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহারকারী আরো কম। তবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানান এবছরের শেষের দিকে কোন কোন বড় শহরে ফাইভ জি’র বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হতে পারে।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।