Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ডিসিদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ২৩ নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

সন্ত্রাস ও মাদক বন্ধে কোন দল না দেখার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, আমি বলতে চাই, বিনা দ্বিধায় আপনারা এই টেন্ডারবাজি, পেশিশক্তি, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূল করবেন। এখানে কে কোন দল করে, কে কী করে সেগুলো দেখার কোনো দরকার নেই। যদি কেউ বাধা দেয়, আপনারা সরাসরি আমার সঙ্গে বা আমার অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন। তিনি বলেন, সরকারপ্রধান হতে পারি, আমি কিন্তু জাতির পিতার কন্যা, আপনাদের সেটাও মনে রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে চাই। এজন্য সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার দুই মেয়াদ পূর্ণ করায় দেশের উন্নয়ন গতিশীল হচ্ছে। এখন আর আমাদের কারো কাছে সাহায্য চাইতে হয় না। এবার ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট দিতে পেরেছি। এখন আমাদের ভিক্ষা চাইতে হয় না, কারও সাহায্য চাইতে হয় না। প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেন, সরকারের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব আপনাদের, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের মধ্যে অনেক উদ্ভাবনী শক্তি আছে। আপনারা এই উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। একটি দেশের উন্নয়নে দেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান থাকা এবং সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকা অত্যন্ত জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটানা দুই মেয়াদে প্রায় সাড়ে নয় বছর সরকার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছি। এর ফলে আমরা অনেক উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। আর্থসামাজিক খাতে আজ বাংলাদেশের যে অভাবনীয় অগ্রগতি, তা সম্ভব হয়েছে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকার জন্য।
সরকারি সেবা পেতে সাধারণ মানুষ যাতে কোনোভাবেই হয়রানি বা বঞ্চনার শিকার না হয়, সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখা এবং চলমান মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখাসহ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকদের ২৩ দফা নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী দিনে দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম, সিলেট, দিনাজপুর এবং বরিশালের মধ্যে বুলেট ট্রেন (দ্রুতগতির ট্রেন) চালুর পরিকল্পনা তার সরকারের রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় রেল যোগাযোগের পরিসর আরও বাড়ানোর জন্য ঢাকা থেকে বরিশালসহ পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপন এবং ভবিষ্যতে বিমান ও হেলিকপ্টার নির্মাণের লক্ষ্যে লালমনিরহাটে একটি অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে আরও বলেন, সরকারের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিক, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ছোট ছোট জমি চাষ করার চেয়ে কীভাবে জমি বড় করে সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদ করা যায়, তা দেখতে হবে। এ ছাড়া কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এটা হলে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য যেমন বিদেশে বাজার পাবে, তেমনি দেশেও বিক্রি করা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিসি প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ