পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চেঙ্গী নদী ও আশপাশের বসতি রক্ষায় পানছড়ি উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ আরসিসি পিলার ও প্রতিরোধক দেয়াল তৈরি করে। অথচ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই নদীতে বিলীন হয়েছে গ্রাম রক্ষার এ বাঁধের অধিকাংশ আরসিসি পিলার ও প্রতিরোধক দেয়াল। ফলে গ্রাম রক্ষার এই প্রকল্প এখন নিজেই তার অস্তিত্ব হারিয়েছে।
তবে পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী তরুন কান্তি দাশের দাবি, প্রকৌশল বিভাগের ভুল নয় বরং নদীর স্রোত ও পাড়ের মাটি ধসে গিয়ে এমনটি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভাঙন রোধে ব্লক দেওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে দেওয়া হয়নি; শুষ্ক মৌসুমে আবার কাজ শুরু করা হবে। সেইসাথে স্থানীয়দের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
জানা গেছে, বিগত অর্থবছরে সিএইচটিআরডিপি-২ প্রকল্পের আওতায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থয়ানে চেঙ্গী নদী ও আশপাশের বসতি রক্ষায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। এখন সেই টাকা জলে গেল।
তবে প্রকল্পের ৬০ লাখ টাকা পানিতে পড়ার পর বোধোদয় হয়েছে কর্তৃপক্ষের। এলজিইডির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নদী রক্ষায় এখন বড় আকারে স্কিম নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে ১২ অক্টোবর কাজ শেষ করার কথা থাকলেও মে মাস নাগাদ কাজ শুরু হয়। হক ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেলেও সুকুমার দাশ নামে স্থানীয় এক ঠিকাদার কাজটি করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভাঙনকবলিত এলাকায় ১৪ ফুট দীর্ঘ আরসিসি পিলার এবং আরসিসি পিলারের উপর লংবীমও বসানো হয়েছে। প্রায় ৫০০ ফুট দীর্ঘ লংবীমের অর্ধেকের বেশি অংশ চেঙ্গীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও লংবীমের সঙ্গে লাগোয়ো প্রতিরোধক দেয়ালও হারিয়ে গেছে নদীর বুকে।
পানছড়ির উত্তর শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, নদী রক্ষার কাজ শুরু করার পরপরই তা নদীতে বিলীন হয়েছে। নদীর যে অংশে ভাঙন ছিল না, আরসিসি পিলারের জন্য সেখানে খনন করায় নতুন করে সেখানেও ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধ করতে না পারলে গ্রামটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশাঙ্কা করছেন এখানকার এ অধিবাসী।
উল্টাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোকন কান্তি চাকমা জানান, যেখানে ২০-২৫ ফুট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় সেখানে ১৩-১৪ ফুটের আরসিসি পিলার দিয়ে নদী রক্ষা করার চেষ্টা হাস্যকর। তার মতে এ প্রকল্প দিয়ে চেঙ্গী নদীর ভাঙন রোধ সম্ভব নয়। এ কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার লাভবান হলেও সরকারের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি গ্রামবাসী ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে।
চেঙ্গী নদীর নির্মাণাধীন প্রকল্প বিলীন হওয়া প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আদনান আখতার উল আলম জানান,‘নদীর স্রোতের কারণে কিছু অংশ বিলীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে আলাদা স্কিম নিয়ে কাজ করতে হবে। এটি অস্থায়ীভাবে করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।