পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদই ফাঁকা রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। এর মধ্যে প্রো-ভিসির পদটি ৩বছর ১০ মাস এবং ভিসির পদটি ফাঁকা রয়েছে প্রায় দুই মাস থেকে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদ দুটি শূন্য থাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে প্রশাসনিক নানান কার্যক্রমে। বিভিন্ন আর্থিক অনুমোদন, আবেদনপত্রে স্বাক্ষর, বিভাগের পরীক্ষার কমিটি গঠন, ফল প্রকাশ, সনদপত্র উত্তোলন, ভর্তিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম থমকে রয়েছে। তবে ভিসির অনুপস্থিতিতে প্রো-ভিসি কার্যক্রম চালানোর কথা থাকলেও প্রায় ৪৬ মাস থেকে শূন্য রয়েছে প্রো-ভিসির পদটিও। গত ২৩ এপ্রিল বহিরাগতদের হামলায় এক বাস চালক হত্যাকান্ডের পর থেকে ক্যাম্পাসে ব্যাপক আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি কেউ না থাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা আরো বেড়ে যাওয়ায় এক ধরণের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয় যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. রফিকুল আলম বেগকে। গত ২৮মে মেয়াদ শেষে তিনি নিজ বিভাগে ফিরে যাওয়ার পর থেকেই এখন পর্যন্ত শূন্য রয়েছে পদটি। অন্যদিকে ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর প্রো-ভিসি হিসাবে নিয়োগ পান ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মর্ত্তুজা আলী। তিনি ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর তার মেয়াদ শেষ করেন বলে জানা যায়। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ড. মর্ত্তুজা আলী নতুন প্রো-ভিসি নিয়োগের বিষয়ে আহ্বান জানালেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি ভিসি অধ্যাপক ড. মোহা. রফিকুল আলম বেগ। এ অবস্থায় প্রায় দীর্ঘ তিন বছর ১০ মাস থেকে শূন্য রয়েছে প্রো-ভিসির পদটি।
বিভিন্ন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসি ও প্রো-ভিসি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে বিঘœতার সৃষ্টি হচ্ছে। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। এমনকি তারা এক ধরণের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন জানিয়ে অতি দ্রুত এই গুরুত্বপূর্ণ ফাঁকা পদ দুটিতে নিয়োগ দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমুর রহমান ইনকিলাবকে জানান, ‘ভিসি না থাকায় প্রশাসনিক বিভিন্ন কার্যক্রম থমকে আছে। সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, বিভিন্ন টেন্ডার আটকে রয়েছে। দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ পদ দুটি পুরণ হওয়ার আশা প্রকাশ করে তিনি জানান, ভিসি নিয়োগ বিষয়ে একটি অনুমোদন হয়েছে। আশ করছি দ্রুতই এর সমাধান হবে ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন ইনকিলাবকে জানান, ‘প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে ভিসির অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু, পদটি শূন্য থাকায় অনেক কাজ আংশিক করার পর অনুমোদনের জন্য আটকে আছে। ভিসি নিয়োগের বিষয়ে কয়েকবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।