বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়নিষ্ঠ সমাজ গঠনে আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে আইনি সেবা সমভাবে সকলের কাছে পৌছে দিতে হবে। দরিদ্র, বঞ্চিত ও শোষিত জনগোষ্ঠী যাতে করে নিরবচ্ছিন্নভাবে আইনি সেবা পায় সে লক্ষ্যে সকল আইনজীবিকে কাজ করতে হবে।
তিনি শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাব নওয়াব আলী চেীধুরী সিনেট ভবনে সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ, ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ড.মিজানুর রহমান রচিত এন্টি-জেনেরিক লার্ণিং এন্ড রেবেলিয়াস লইয়ারিং: রিফ্লেকশনস অন লিগ্যাল এডুকেশন ইন বাংলাদেশ’’ শীর্ষক বই এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, রেবেলিয়াস লইয়ারিং আইনের আঙ্গিনায় একটি নতুন ধারণা। রেবেলিয়াস লইয়ারিং কেবলমাত্র দরিদ্র ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য নয় বরং সকল ক্ষেত্রেই রেবেলিয়াস লইয়ারিং প্রতিষ্ঠা করা অধিক সমীচীন। এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক উক্তি ‘‘বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত-শোষক আর শোষিত, আমি শোষিতের পক্ষে’’ উল্লেখ করে বলেন, রেবেলিয়াস লইয়ারিং প্রতিষ্ঠিত হলে শোষিত সমাজ উপকৃত হবে।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী “এন্টি-জেনেরিক লার্ণিং এন্ড রেবেলিয়াস লইয়ারিং: রিফ্লেকশনস অন লিগ্যাল এডুকেশন ইন বাংলাদেশ’’ শীর্ষক বই এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: আখতারুজ্জান এর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে আইন কমিশনের সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. এম শাহ আলম, অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. আবুল বারকাত, বইটির লেখক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. রহমতউল্লাহ। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।