পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় কারাবন্দি করা হয়েছে অভিযোগ করে দলটির নেতারা বলেন, শুধু কারাবন্দিই নয়, তার কারাবাস দীর্ঘায়িত করার জন্য সরকার নানা অপকৌশল বেছে নিয়েছে। এজন্য মূল মামলায় হাইকোর্টে জামিন হওয়ার পর এখন সারাদেশে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তবে আইনি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে বলে তারা জানান।
এজন্য দলের সিনিয়র নেতারা বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ারও আহ্বান জানান। গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর পর গতকালই প্রথম উন্মুক্ত কোনো জায়গায় সমাবেশের অনুমতি পায় বিএনপি। এজন্য নয়া পল্টনে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। জুমা’র নামাজের পরপরই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ‘মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে রাজপথ। প্রখর রোদ ও তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের বিভিন্ন থানা, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, মহিলা দলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে থাকেন।
ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পুরো নয়াপল্টন এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন পর সমাবেশ করার সুযোগ পাওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহের কমতি ছিল না। সমাবেশ শেষ হয় বিকেল সোয়া ৫টায়। রাজধানী ছাড়াও সারাদেশে মহানগর-জেলা-উপজেলাও একযোগে এক কর্মস‚চি হয়েছে বলে জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এ সমাবেশকে কেন্দ্র পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিজয়নগর ও ফকিরাপুল মোড়ে জলকামান, রায়টকার প্রস্তুত রাখা হয়। ২৩ শর্তে বেলা ২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে বিএনপিকে এ সমাবেশ করার অনুমতি দেয় মহানগর পুলিশ।
সমাবেশে সভাপতির বক্তেব্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও সেনা মোতায়েন করতে হবে। এ ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, জনগণ হতে দেবে না। আজ আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সব রাজনৈতিক দল, সংগঠনকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জনগণের দাবি আদায় করতে হবে। অপশাসনকে পরাজিত করতে হবে। জাতিকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, যে নেত্রী তার সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তিনি এখন একটি নির্জন কারাগারে বন্দি। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ কিন্তু তাকে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে দিচ্ছে না। তারপরও এই সরকারের মন্ত্রীর বলছেন খালেদা জিয়ার অসুস্থা নিয়ে নাকি আমরা রাজনীতি করছে। রাজনীতি করছেন আপনারা (সরকার)। তাকে রাজনৈতিক কারণে কারাগারে বন্দি করে রেখেছেন। কারণ খালেদা জিয়াকে আপনারা ভয় পান, তাকে রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চান। আজ যদি খালেদা জিয়া বের হয়ে আসেন তাহলে লাখ লাখ মানুষ তার পেছনে রাস্তায় নেমে আসবে। এটিকেই আপনারা সবচেয়ে বেশি ভয় পান। যে মামলায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, সে মামলায় তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখছে। আজকে বেগম জিয়া আদালত থেকে জামিন পেলেও তার মুক্তি মিলছেনা। তাকে মিথ্যা মামলায় আটক দেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে তিনি নাকি বোমা মেরেছেন, একরাত্রে বিশটি গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছেন! তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে যদি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া না হয় তাহলে আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া এখন এই দেশের মানুষের আশা আকাক্সক্ষার প্রতীক। সেজন্য তাকে আটকে রেখে সাজানো নির্বাচন করতে চান। ২০১৪ তে নির্বাচন করেছেন। যে নির্বাচন দেশের মানুষ স্বীকৃতি দেয়নি, দেশের ৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে আসেনি, ১৫৪জন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছে। এমন পার্লামেন্ট করেছেন যেখানে গৃহপালিত বিরোধী দল। সেই নির্বাচনের মধ্য দেশে দেশের মানুষের সমস্ত অধিকার হরণ করা হয়েছে।
এই সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নৈরাজ্য বিরাজ করছে। ব্যাংক খাত ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংককেও বাদ দেয়া হচ্ছে না। রিজার্ভ লুট করা হয়েছে এখন ব্যাংকের ভোল্টে থাকা সংরক্ষিত সোনা বদলে নকল সোনা রাখা হয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগ আসছেনা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। মানুষের চাকরি নাই, বিদেশ থেকে শ্রমিকরা ফিরে আসছেন, নতুন করে চাকরি পাচ্ছে না। গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতি চরম দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে। বিচার বিভাগ আওয়ামী লীগের লোক দ্বারা পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত। তাদের দায়িত্ব যারা বিরোধীতা করবে তাদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগে বিএনপি ও বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম করতো। এখন নতুন নাটক শুরু হয়েছে। মাদকের নামে নিরপরাধ মানুষকে বিনা বিচারে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। একটা ভয়াবহ দেশ তারা তৈরি করেছে। ভয়ানক পরিস্থিতি, ত্রাসের রাজত্ব-ভয়ের রাজত্ব তৈরি হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ আজকে অনিরাপদ, তাদের কখন মৃত্যু হবে তারা বলতে পারে না। তারা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চায়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ছাত্ররা কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছিল, তারা কোটা বাতিল করতে বলেনি। যখন তারা আন্দোলন করছিল তখন প্রধানমন্ত্রী রেগেমেগে সংসদে বলেছেন, কোনো কোটা থাকবে না। আর এখন কি করছে, যারা আন্দোলনের সাথে জড়িত তাদের গুম করা হচ্ছে, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করছে। আজকে বিদেশী দূতাবাসগুলো থেকে বলা হচ্ছে- এটা অন্যায় করা হচ্ছে। এই নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধ করো। শিক্ষকরাও বেরিয়ে এসেছেন তারা বলছেন এখন ছাত্র লীগের যে ভূমিকা সেটা আইয়ূব খান-মোনায়েন খানের আমলে যে ছাত্র সংগঠন ছিল এনএসএফ’র চাইতেও খারাপ ভূমিকা। আজ দেশে কেউ নিরাপদ নয়। কেউ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। আমাদের এমপি-মন্ত্রী বানানোর জন্য নয়। আমরা আন্দোলন করছি, কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে, ভোটের অধিকার ফিরে পেতে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে। কিন্তু এটি সরকার দেবে না। কারণ যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয় তাহলে আওয়ামী লীগ ২০টি আসনও পাবে না। তাই এ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
মির্জা ফখরুল সম্প্রতি নতুন আটদলীয় বাম জোটকে আশার খবর জানিয়ে বলেন, আমরা বাম মোর্চাকে ধন্যবাদ জানাই। তারা একটি ঐক্য গড়ে তুলেছে। তাই সবাইকে আহ্বান জানাব, গণতন্ত্রকামী সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হোন। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। দেশকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করুন।
আওয়ামী লীগ ২০টি আসনও পাবেনা মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করবেন না। কারণ আপনারা জানেন সকল দল যদি অংশ নেয়, বিশেষ করে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে আপনারা ২০টি আসনও পাবেন না। সেই ভয়ে খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান স্বৈরাচার সরকার খালেদা জিয়া, দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রকে ভয় পায়। তারা ২০১৪ সালে জনগণের ভোট ছাড়াই সরকার গঠন করেছে। আবারো সে ধরনের নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করেছে সরকার। জামিনের পরও তাকে মুক্তি দিচ্ছেনা সরকার। কারণ আবারো প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়।
দেশের জনগণ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যত ষড়যন্ত্রই করা হোক দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ছাড়া আগামী নির্বাচন হতে দেবেনা। কারণ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচন একই সূত্রে গাঁথা। আন্তর্জাতিক বিশ্ব বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে খালেদা জিয়া ও সব নেতাকর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এই সরকার সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থি হয়ে সরকার পরিচালনা করছে। একদলীয় এবং কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সরকারকে অপসারণ করতে হবে, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় সম্ভব না হলে রাজপথই হবে একমাত্র পথ। এজন্য আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ও ভোল্টের স্বর্ণ গরমিলের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে মওদুদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮০০ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেল একটা মানুষকে গ্রেফতার করা হয়নি। ভোল্টের সোনা তামা হয়ে গেছে কিন্তু একজন মানুষকে গ্রেফতার করা হয়নি। দেশের মানুষ বিশ্বাস করবে যে সোনা ও টাকা চুরির সাথে ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত নয়। এটা প্রমাণ করে এর পেছনে সরকারের মদদপুষ্ট মানুষ আছে বলেই আইনের প্রয়োগ করতে চান না।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার আশা করবেন না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই আমরা নির্বাচনে যাবো। বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কেউ কিন্তু মাফ পায়নি। দেশের জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করব। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাব। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা ভেঙ্গে গেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা নেই। দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করেছে সরকার। এর উদ্দেশ্য হলো আবারো একতরফা নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে ব্যাংক লুট করা, মানুষ খুন ও গুম করা। কিন্তু এদেশে আর কোনো একতরফা নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা। আপনারা প্রস্তুতি নিন আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, জয়নাল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহানগর বিএনপির কাজী আবুল বাশার, আহসান উল্লাহ হাসান, শ্রমিক দলের নূরুল ইসলাম খান নাসিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, যুবদলের মোরতাজুল করিম বাদরু, নূরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান প্রমুখ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ, আফরোজা আব্বাস, আসাদুল হাবিব দুলু, মীর সরফত আলী সপু, নীলুফার চৌধুরী মনি, মীর নেওয়াজ আলী, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, শামীমুর রহমান শামীম, শিরিন সুলতানা, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, চেয়াপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের আলমগীর হাসান সোহান, নাজমুল হাসান, সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে উক্ত বিক্ষোভ ও সমাবেশ পালিত হয়। এসময় খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম বলেছেন, ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনি ভাবে সরকার জেলে রাখেছেন। নির্বাচনের আগেই বেগম খালেদা জিয়ারকে মুক্তি দিতে হবে । সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুন্সী হাবিবুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব মুন্সিসহ আরও অনেকে।
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুরে বিক্ষোভ মিছিল পুলিশের বাধায় পন্ড হয়। ওই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট জামিনুর হোসেন মিঠু পৌর বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট শরীফ মো: সাইফুল কবীর, বজলুর রহমান যুবদল সভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন মফা সাধারণ সম্পাদক ফারুক বেপারী প্রমুখ।
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, মির্জাপুরে পুলিশের বাধার মুখে মিছিল করতে পারেনি বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে বংশাই রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হয়। মির্জাপুর পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী,
মুন্সিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, মুন্সিগঞ্জে বিএনপি ও এর অ্গং সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আ: হাইয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতোয়ার হোসেন বাবুল, গুলজার হোসেন আইনজীবি ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট তোতামিয়া, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আ: আজিম স্বপন, জেলা যুবদল সভাপতি সুলতান আহমেদ প্রমুখ।
নারায়নগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, দেশ ব্যাপী কর্মসুচী বিএনপির চেয়ার পাসর্ন বেগম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে নারায়নগঞ্জ মহানগর বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের উদ্যেগে বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও সভাপতি এড: আবুল কালাম ও সিনিয়র সহ- সভাপতি এড: সাখাওয়াত হোসেন ।
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সিরাজদিখানে বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভা পন্ড করে দিয়েছে সিনাজদিখান থানা পুলিশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা খলিল সরকার, পিয়ার মোল্লা, মাহাবুব হোসেন রন্টু, জাকির দেওয়ান, উপজেলা যুবদরের সাধারণ সম্পাদক আমজাত হোসেন, যুগ্ন সম্পাদক ইমতিয়াজ নবী, দেলোয়ার ভূইয়া, সহ সভাপতি হুমায়ুন ভূইয়া, যুবদল নেতা মাহমুদ হাসান ফাহাদ, মেহেদী হাসান হীরা, উপজেলা ছাত্রছলের যুগ্ন আহবায়ক, ওমর ফারুক রিগ্যান, বিক্রমপুর কে.বি ডিগ্রী কলেজে শাখার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল মল্লিক, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।