Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে পোশাক রফতানি দ্বিগুণেরও বেশি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বড় বাজার এবং প্রতিবেশী দেশ হিসেবে প্রত্যাশা অনুযায়ী রফতানি বাড়ছে ভারতে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রধান পণ্য তৈরি পোশাকের রফতানি বেড়েছে ১১৫ শতাংশ। এ প্রবৃদ্ধি কোনো একক বাজারে রফতানিতে বাংলাদেশের রেকর্ড। এ সময়ে বিশ্ববাজারে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। শুধু পোশাক নয়, ভারতে সব ধরনের পণ্য রফতানি বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ।
রফতানিকারকদের মতে, পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা লিডটাইম। সাধারণত রফতানি আদেশ পাওয়ার পর কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন এবং সরবরাহ করে থাকেন উদ্যোক্তারা। এতে অনেক বেশি সময়ক্ষেপণ হয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে লিডটাইম তিন মাসের মতো। অথচ চাইলে তিন দিনের মধ্যে ভারতে পণ্য পৌঁছানো সম্ভব। বাণিজ্য-বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ বিবেচনায় ভারতে আরও বেশি পরিমাণে পোশাক রফতানির সামর্থ্য রাখে বাংলাদেশ। সেখানে রফতানি বেশি হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বিজিএমইএর ডাটা বিশ্নেষণে দেখা যায়, গত অর্থবছরে ভারতে পোশাক রফতানি থেকে আয় এসেছে ২৮ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১৩ কোটি ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যা ছিল ১৪ কোটি ডলার। দেশটিতে নিট (গেঞ্জি জাতীয়) পোশাকের তুলনায় ওভেনের (শার্ট, প্যান্ট) চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি। আলোচ্য সময়ে ওভেন রফতানি থেকেই এসেছে ২১ কোটি ডলার। বাকি ৭ কোটি ডলারের কিছু বেশি আয় এসেছে নিট রফতানি থেকে। ওভেনের তুলনায় নিটের রফতানি কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে নিট পোশাক উৎপাদন ও রফতানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিকেএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ বলেন, ভারত আমাদের নিট পোশাকের শক্তিশালী প্রতিযোগী। স্থানীয়ভাবে তৈরি নিট পণ্য এখানকার চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী। এ কারণে নিটের বাজার সেভাবে বাড়ছে না। ওভেনে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের কাপড় ব্যবহার হয় সে কারণে সেখানে তুলনামূলকভাবে ওভেন রফতানি সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।
মূলত, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ভারতে তৈরি পোশাকসহ ৬৬ পণ্যে শুল্ক্কমুক্ত সুবিধার কারণেই রফতানিতে গতি আসে। ঘোষণার প্রথম দুই-তিন বছর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না এলেও গত তিন বছর ধরে রফতানি বাড়ছে বেশি হারে।
ভারতীয় বাজারে পোশাক রফতানি বৃদ্ধির পেছনে তিনটি মুখ্য কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রফেসর সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, বড় বাজার বিবেচনায় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো ভারতে শোরুম খুলেছে। ফলে সেখানে ভারতসহ বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। আর এ দেশের পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের বিশেষ আগ্রহ আছে। কারণ, ভারতে পোশাক নেওয়ার ক্ষেত্রে লিডটাইমের বিষয়টি অনেক সুবিধাজনক। অন্য কারণের মধ্যে দেশটির রাজ্য থেকে রাজ্যে শুল্ক নিয়ে যে জটিলতা ছিল, তা সমন্বয় করা হয়েছে। ফলে এতদিনের রাজ্যভিত্তিক শুল্ক বাধা আর নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারতে পোশাক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ