পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নৌযানে কর্মরত সকল জাহাজী শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য সর্বনিম্ন মজুরী ১১ হাজার টাকা নির্ধারণ ও গ্রহণযোগ্য পেস্কেল ঘোষণাসহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী ২১ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী নৌপথে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের শীতলক্ষ্যা নদী সংলগ্ন বরফকল ঘাটস্থ বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন ট্রেনিং এন্ড কালচারাল সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আবু বকর, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মাস্টার, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কায়সার আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ শিকদার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজুর রহমান মাস্টার, অর্থ সম্পাদক আনিছুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ মাস্টার, বিআইডব্লিউটিএ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতা রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সরদার আলমগীর মাস্টার, ডেমরা শাখার সভাপতি জাকির হোসেন, মুন্সিগঞ্জ শাখার সভাপতি তাজুল ইসলাম বাদশা, পটুয়াখালী শাখার সভাপতি নূরে আলম হাওলাদার প্রমুখ।
শুক্কুর মাহমুদ জানান, ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর আমরা ৭ দফা দাবি নৌ পরিবহন মন্ত্রী, শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ও নৌযান মালিকদের সংগঠনের বরাবরে লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু মালিকপক্স কোন সাড়া না দেয়ায় আমরা ২৭ জানুয়ারী সারা বাংলাদেশে কর্মবিরতি পালনের ডাক দেই। পরে ২৬ জানুয়ারী নৌ পরিবহন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ত্রিপক্ষীয় সভায় সকলের উপস্থিতিতে একটি চুক্তিনামা হয়। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ৭ দফা দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা আজ পর্যন্ত মানা হয়নি। বর্তমানে নৌ শ্রমিকদের যে মজুরী দেয়া হচ্ছে তাতে শ্রমিকরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিক কাটাচ্ছে। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে যদি ন্যূনতম ১১ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণসহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা না হয় তাহলে ২১ এপ্রিল থেকে ব্যক্তি মালিকানাধীন পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী সকল ধরনের নৌযানের শ্রমিক কর্মচারীরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে।
সবুজ শিকদার বলেন, আগে আমাদের নৌ শ্রমিকদের বেতন ১০০ কিংবা ২০০ টাকার বেশী বাড়তো না। কিন্তু ২০১৩ সালে শুক্কুর মাহমুদের নেতৃত্বে নৌ শ্রমিকদের বেতন ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে যে মজুরী দেয়া হচ্ছে তাতে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
৭ দফা দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নৌযানে কর্মরত সকল জাহাজী শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য সর্বনি¤œ মজুরী ১১ হাজার টাকা নির্ধারণ, গ্রহণযোগ্য বেতন স্কেল, সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়নসহ কর্মচারীদেরকে পরিচয়পত্র প্রদান, সার্ভিস বুক চালু এবং কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুকালীন ঝুঁকিভাতা, পঙ্গুত্ব ভাতা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, নদীপথে ড্রেজিং-এর ব্যবস্থা করা, মার্কা, বাতি, বয়া ও পোতাশ্রয় নির্মাণের ব্যবস্থা করা, নারায়ণগঞ্জসহ সকল নদীবন্দরে মেরিন কোর্ট চালু করা, নদীপথে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ছিনতাই বন্ধ করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।