পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে হুমকি ও হেয়প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে ডাকা শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে ছাত্রলীগের হামলা করেছে । আজ সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এতে ২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত দুই জনকে চবি মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছ। তবে আহত দুই শিক্ষার্থী তাদের পরবর্তী নিরাপত্তার স্বার্থে নাম না প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এ মানববন্ধনে বেশ কিছু শিক্ষক সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান দিনারের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা করে ছাত্রদের মারধর করে ও ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
জানা যায়, কোটা সংস্কার নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখির কারণে গত মঙ্গলবার চবির সমাজতত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের চাকরীচ্যুত করার জন্য চবি ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দেয় ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে সমাজতত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধনের ডাক দেয়। মানববন্ধনের শুরুতেই শিক্ষকদের হাত থেকে ২ টি ব্যানার কেড়ে নেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মানববন্ধন থেকে ছাত্রদের ধরে নিয়ে মারারও অভিযোগ পাওয় গেছে। এবং ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে ক্যাম্পাসে দেখে নিবে বলে নববন্ধনকারীদের হুমকি দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় দুই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করে তারা।
সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম বলেন, আমাদের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে তাদের অপসরণ চাওয়া হয়েছে। সেটার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আমরা মানববন্ধন করছিলাম। কিছু ছেলে এসে আমাদের ব্যানার কেড়ে নেয় এবং ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমান নাসির উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ভিন্ন মতামতের স্বাধীনতা থাকবে। রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যে কোন মতামত প্রকাশ করতে পারবে। যা বঙ্গবন্ধু নিজেই বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্টে এই মতামতের স্বাধীনতা দিয়েছেন। এই মতামতের জন্য কোন সংগঠন কোন শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে পারেনা। মানববন্ধনে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা মানববন্ধন করেছে তারা শিক্ষার্থী এবং যারা হামলা করেছে তারাও শিক্ষার্থী। মানববন্ধনে হামলা মটেও কাম্য নয়।
চবি মেডিকেলের কর্মরত চিকিৎসক জানান, তারা দুইজন এসেছিল তাদের মাথায় আঘাত পেলেও তা গুরুত্বর নয়।
হামলার বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ- বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক রকিবুল হাসান দিনার বলেন, কোন হামলা করা হয়নি নেত্রীর নামে যে শিক্ষক কটূক্তি করছে তার পক্ষনিয়ে ছাত্ররা মানববন্ধন করছিল তাই তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছি।
চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর টিপু ইনকিলাবকে বলেন, তারা এতদিন পরে কেন মানববন্ধন করবে। তাদের উপর হামলা হবে কি ভাবে ওখানে তো আমাদের কোন নেতাকর্মী যায় নাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন বলেন, মানববন্ধনে কি হয়েছে না হয়েছে আমরা কিছুই জানিনা। মানববন্ধনের কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি এবং মারধরের ঘটনারও কোন অভিযোগ আমরা পাইনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।