পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লার বেশিরভাগ থানা জব্দ বা আটক যানবাহনের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যানবাহনের ধরণ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা। রোদে, বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাওয়া হাজারো মোটরসাইকেলের স্তূপ থানার ক্যাম্পাসগুলোতে। আদালতের নির্দেশ না পাওয়ায় এসব মোটরসাইকেল একদিকে যেমন নিলামে বিক্রি করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আইনগত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কুমিল্লার কোতয়ালী খানা, সদর দক্ষিণ থানা, চান্দিনা থানা, চৌদ্দগ্রাম থানা, দাউদকান্দি থানা, লাকসাম থানা, দেবীদ্বার থানাসহ হাইওয়ে থানা, ফাঁড়িতেওে হাজারো মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে পড়ে থেকে অযতেœ নষ্ট হতে হতে এক সময় ব্যবহার উপযোগিতা হারায়। বর্তমানে কুমিল্লার বেশিরভাগ থানায় বিভিন্ন সময়ে বৈধ কাগজপত্র না থাকায়, মাদক বহনের কারণে কিংবা দুর্ঘটনার দায়ে আটক বা জব্দ মোটরসাইকেলের বিবর্ণ চেহারা বলে দেয় এসব যান্ত্রিকবাহন দীর্ঘ সময় ধরে থানা ক্যাম্পাসে পড়ে রয়েছে। জব্দ করা এসব মোটরসাইকেল আলামত হিসেবে থানায় সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় পুলিশও এসব জব্দ আলামত নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে। মামলা বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় বছরের পর বছর থানা ক্যাম্পাসে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে ব্যবহার উপযোগী অবস্থায় জব্দ করে আনা এসব মোটর সাইকেল। থানাগুলোতে প্রাইভেটকার, পিক্যাপভ্যান, মাইক্রেবাসও রয়েছে। তবে এসব যানবাহনের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়।
কুমিল্লার কয়েকটি থানা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সময়ে জব্দ করা মোটরসাইকেল থানা ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ জায়গা দখর করে রেখেছে। জব্দ করা এসব মোটর সাইকেল রাখার বাড়তি চাপ থানার পরিবেশও বিনষ্ট করছে। থানার ভেতরের জায়গাও সঙ্কুচিত হচ্ছে। আটক বা জব্দ করা এসব মোটরসাইকেল রাখার কোন ছাউনি না থাকায় খোলা আকাশের নিচে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘদিন পড়ে থেকে মরিচা ধরে জরাজীর্ণ, বিবর্ণ হয়ে গেছে। কোন কোনটি পরিণত হয়েছে ভাঙ্গারিতে। কুমিল্লার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন গত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় থানাগুলোতে পড়ে থাকা মোটরসাইকেল বিষয়ে বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে পুলিশের অভিযানে বা বিভিন্ন ঘটনায় আটককৃত মোটরসাইকেল মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এসব মোটরসাইকেল থানায় অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি রূপসী বাংলাকে বলেন, থানাগুলোতে বর্তমানে হাজারো মটর সাইকেল পড়ে রয়েছে। যে ঘটনায় বা যে কোন কারণেই মোটরসাইকেলগুলো আটক করা হোক না কেন, এসব মোটরসাইকেল তো দেশের টাকায় কেনা হয়েছে। কিন্তু ব্যবহার উপযোগী থাকা অবস্থায় মালিকবিহীন এসব মোটরসাইকেল আদালতের অনুমতি নিয়ে নিলামের মাধ্যমে বিক্রির পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় দেশের কোটি কোটি টাকা বছরের পর বছর রোদ বৃষ্টিতে ধ্বংস হচ্ছে। তাই আটকের পর মালিক দাবিদার না পাওয়া গেলে যতো দ্রুত নিলামের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে সরকারের রাজস্ব বেশি পাওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ওসি আবদুর রব বলেন ‘মামলা নিস্পত্তি না হওয়ায় বৈধ মালিককে তার মোটর সাইকেল দেয়া যাচ্ছে না, তেমনি মালিকবিহীনগুলোও নিলামের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করা যায় না। তবে বর্তমানে জব্দ করা যে পরিমান মোটরসাইকেল রয়েছে এগুলো নিলামের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে আদালতের অনুমতি পাওয়া যাবে’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।