পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক নিয়োগে ৩৫ বছরের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর আগে বয়সসীমা না রেখেই ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কারিগরি ও মাদ্রাসা)-এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এতে বিতর্ক ওঠায় নীতিমালায় বয়সের বিষয়টি নতুন করে সংযোজন করা হচ্ছে। এরসাথে শিক্ষকদের বদলির বিষয়টিও যুক্ত হচ্ছে খসড়া নীতিমালায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) রওনক মাহমুদ বলেন, ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা ৩৫ বছর রাখা হচ্ছে। বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার মতোই থাকছে এতে। খসড়া চূড়ান্ত করার পর সচিব, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী অনুমোদন দিলে নীতিমালাটি জারি করা হবে।’
সম্প্রতি নীতিমালাটির খসড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তিনি বলেছিলেন, ‘কারিগরি ও মাদ্রাসার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা রাখা হচ্ছে না। কারণ, সাধারণ শিক্ষার সাথে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার পার্থক্য রয়েছে। অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্যই বয়সের বাধা রাখা হয়নি।’
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে। ওই নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয় ৩৫ বছর। পাশাপাশি বদলির ব্যবস্থাও রাখা হয়।
কিন্তু ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (কারিগরি ও মাদ্রাসা)-এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ চূড়ান্ত করা হয় বয়সসীমা নির্ধারণ না করেই। এতে বিতর্ক দেখা দেয়। প্রশ্ন ওঠে দেশের স্কুল কলেজের শিক্ষকদের নিয়োগ পেতে বয়স ৩৫ বছর থাকবে আর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের নিয়োগে কোনও বাধ্যবাধকতা থাকবে না সমমানের পদে নিয়োগে এই নিয়ম অনৈতিক।
কিন্তু এই সিদ্ধান্তে স্থির থাকতে পারেনি কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক উঠলে তা পরিবর্তন করে নতুন করে বয়সসীমা ৩৫ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি খসড়া চূড়ান্ত করার কাজ করা হচ্ছে নতুন করে। এতে চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা নির্ধারণ ছাড়া বদলির ব্যবস্থা থাকছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) রওনক মাহমুদ বলেন, ‘সরকার চাইলে যে কোনও সময় কোনও শিক্ষককে বদলি করতে পারবেন বদলি নীতিমালা করে।’
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) এ কে এম জাকির হোসেন ভুঞা বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় নীতিমালাটি অনুমোদন দিয়েছে। মাদ্রাসা ও কারিগরির ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য আছে। সেগুলো ঠিক করে আগামী সপ্তাহে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর থেকে জানা গেছে, দেশে মোট মাদ্রাসার সংখ্যা ৯ হাজার ১৩৭টি। মোট শিক্ষক এক লাখ ২৫ হাজার ৩৪৪ জন। এর মধ্যে দাখিল ও কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষক রয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৭ জন, এবতেদায়ি শিক্ষক ৪ হাজার ৫২৯ জন এবং আইসিটি শিক্ষক রয়েছেন ১ হাজার ২২৮ জন।
মোট মাদ্রাসার মধ্যে এমপিওভুক্ত দাখিল-কামিল মাদ্রাসা ৭ হাজার ৬১৮টি। অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র এবতেদায়ি এক হাজার ৫১৯টি।
সম্প্রতি অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাসহ আরও বেশ কিছু মাদ্রাসা অনুদান না পাওয়া এবং নন-এমপিও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।