পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক তারেক রহমান তিনদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত থাকায় এর আগেও একবার তাকে তুলে নেয়া হয়েছিল। নিখোঁজ তারেকের সন্ধান ও সুস্থভাবে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন তার বাবা-মা। গতকাল দুপুর ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারেকের বাবা-মা এ আকুতি জানায়।
তারেকের বাবা আবদুল লতিফ জানান, ‘তারেক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে ঢাকায় বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ফার্মগেটে কনফিডেন্স কোচিং সেন্টারে কোচিং করতো। গত শনিবার রাত থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’ । কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত থাকায় গ্রেফতার অন্যান্য আন্দোলনকারীদের মতো তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে পরিবার অভিযোগ করেন।
তারেকের মা শাহানা বেগম বলেন, ‘তারেকের এক বন্ধু জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে তারেক বন্ধুদের বলেছে, কিছু লোক তার আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। তাকে অনুসরণ করছে। ওই দিন তারেকের সঙ্গে আমার মেয়ের শেষ কথা হয়। তখন ফোনে মেয়েকে বলছিল- তাকে সাদা পোশাকে কেউ অনুসরণ করছে ও খুঁজছে। পরে ওই দিন রাত থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’ তারেকের বাবা বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম পর্যায়েও তারেককে একবার তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কোনো মামলা ছাড়াই ওইবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারেক যখন কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলন করছিল, পরিবারের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়। আমি বলি, তুমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না, তুমি আন্দোলনে যেয়ো না। ও বলে- চাকরির জন্য আন্দোলন করছি। তখন আমি বলি- ঠিক আছে, তোমরা আন্দোলন করলে সরকার মেনে নিলে আমার আপত্তি নেই।’ তিনি আরও বলেন, তারেক প্রথমদিকে মধ্য বাড্ডায় বোনের বাসায় থেকে পড়াশোনা করেছিল। তবে সেখানেও পুলিশ তার খোঁজখবর করেছিল। পরে ওই বাসা ছেড়ে মেসে ওঠে।’ তারেক রাজনীতি করতো কি না এমন প্রশ্নে আবদুল লতিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কেউই রাজনীতি করি না। তবে আমাদের ছেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল বলে শুনেছি।’ তারেকের বাবা-মা বলেন, ‘আমরা ছেলের সন্ধান চাই। আামদের একটাই চাওয়া, ছেলেটা যেন সুস্থভাবে আমাদের কাছে ফিরে আসে।’
ছেলের খোঁজ না পেয়ে গত রোববার রাতে মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যান জানিয়ে তারা বলেন, ‘তারেকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাস্থল মতিঝিল থানাধীন না হওয়ায় ওই থানার পুলিশ জিডি নেয়নি। পরে আমরা রাত সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগ থানায় যান। থানা থেকে আমাদের এক দিন অপেক্ষা করতে বলে তারেকের নাম-ঠিকানা লিখে রাখে পুলিশ। তারা বিষয়টি তদন্ত করে জিডি গ্রহন করবে বলে আমাদের জানায়। আমরা যেভাবেই হোক আমাদের ছেলের সন্ধান চাই।’ তারা আরও বলেন, ‘যদি ডিবি পুলিশ তারেককে আটক করে থাকে তবে তা স্পষ্ট করা হোক। সে যদি অপরাধ করে থাকে পুলিশ ব্যবস্থা নিক। কিন্তু আমরা তার খোঁজ চাই। তার অবস্থান নিশ্চিত হতে চাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।