পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী এক ছাত্রী প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করেছিল ফেসবুকে তাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামজা রহমান অন্তর ও তার শিষ্যরা। এই অভিযোগের পর ছাত্রলীগ নেতা অন্তর (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব-৪১) ও তার শিষ্য ইশকাত হারুন আকিব (বাংলা-৪৬), জাহিদ হাসান ইমন (আইআইটি-৪৬) ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে গতকাল মানহানির অভিযোগ করেছেন। অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেন, ‘আমরাই জাহাঙ্গীরনগর’ নামের একটি গ্রæপে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের আড়ালে জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্রলীগকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় অপপ্রচার চালাচ্ছিলো। সেখানে আমরা মার্জিত ভাষায় শেখ হাসিনার বক্তেব্যের ব্যাখা দিয়ে পোস্ট দিয়েছি। কিন্তু সেখানে ধর্ষণের অভিযোগকারী ছাত্রী নোংরা ভাষায় ব্যাক্তিগত আক্রমন শুরু করে। তার উত্তরে আমাদের করা মন্তব্যে ধর্ষণের হুমকি স্বরূপ কোন মন্তব্য ছিলনা। তাই আমাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের হুমকির যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
তাই অভিযোগপত্রে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট তদন্তের দাবি জানিয়ে ওই ছাত্রীর শাস্তি দাবি করেছেন। পাশাপাশি ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে সাভার অথবা আশুলিয়া থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।
এর আগে গত রোববার বিকালে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সক্রিয় ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, ‘আমি কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার থাকায় একটি চক্র ফেসবুকে সংঘবদ্ধভাবে আমার চরিত্র হরণের জন্য ধর্ষণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা আমার পরিবার নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। তাই আমি সম্ভ্রম ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমন অবস্থায় অভিযুক্তদের বহিষ্কার ও ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়নের দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। মিছিল থেকে তারা অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরকে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, এর আগেও যৌন হয়রানীর অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামজা রহমান অন্তরকে ৬ মাসের বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া হল ক্যান্টিনে চাঁদা দাবি, সাংবাদিকদের সাথে খারাপ ব্যাবহার, ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে এলাকায় নানান অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার জুলকারনাইন বলেন, ‘দুই পক্ষ থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ইতিমধ্যেই তদন্তের কাজ শুরু করেছি। তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।