Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মামলার বাদী ছাড়া কোনো সাক্ষী বিরুদ্ধে বলেনি

আপিল শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০০ এএম

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানিতে তার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান বলেছেন, মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী হারুন অর রশিদ ছাড়া আর কোনো সাক্ষী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বলেনি। এ মামলার প্রথম অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নুর আহম্মদ যে অনুসন্ধান রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছিলেন সেখানে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু আসেনি। সেই অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বিষয় বস্তুর ভিতরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু ছিলনা। তিনি (মামলার প্রথম সাক্ষী) অনুসন্ধান রিপোর্টের বাইরে সাক্ষ্য দিয়েছেন। রেজাক খান আরো বলেন, এ মামলায় ব্যাংকের হিসাব খোলাসহ কোন ডকুমেন্টে খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর নেই। অপর আইনজীবী এ জে মোহাম্মাদ আলী বলেছেন, এ আপিলের পেপার বুক অসম্পূর্ণ। এ অবস্থায় মামলার শুনানি করা যায় না।
গতকাল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দী ও আংশিক জেরা পড়ার সময় আদালতে এসব কথা আবদুর রেজাক খান বলেন। এরপর সোমবার পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করা হয়েছে।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবদুর রেজাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের খুরশীদ আলম খান। খালেদা পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, সানা উল্লাহ মিয়া, আমিনুল ইসলাম, নওশাদ জমির, রাগীব রউফ চৌধুরী, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আইয়ুব আলী আশ্রাফী প্রমুখ।
বেলা দুইটায় খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শুরু করা হয়। শুরুতেই আইনজীবী এ জে মোহাম্মাদ আলী আদালতে বলেন, এ আপিলের পেপার বুক অসম্পূর্ণ। এ অবস্থায় মামলার শুনানি করা যায় না। তখন আদালতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের দুষ্টি আকর্ষক করেন। জবাবে খুরশীদ আলম খান বলেন, তারা যে আটটি পয়েন্টের কথা বলেছে তা পেপার বুকে আছে। তখন আদালত সেগুলো দেখাতে বলেন। আদালত বলেন তারা বলছে নেই। কিন্তু দুদকের আইনজীবী পেপারবুকের সূচিতে তা দেখাতে পারলেও মুল কাগজপত্রে দেখাতে পারেনি। এরপর আদালত আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে পয়েন্টগুলো দেখানোর আদেশ দিয়ে বলেন। কাল জানাবেন কোন কোন পেজে এগুলো আছে। সোমবার এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে। এরপর আদালত মামলার পেপারবুক থেকে প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়তে বললে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, এসব গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ছাড়া কিভাবে আমরা শুরু করব।
এসময় আদালত বলেন, এখানে এগুলো দরকার নেই। শুরু করেন। কোর্ট যেটা বলে সেটা ফলো করার চেষ্টা করেন। অবশ্যই আপনারা ডকুমেন্ট পাবেন। এরপর এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, অসম্পূর্ণ পেপার বুক নিয়ে আমরা কি করে শুনানি করতে পারি।
এসময় আদালত শরফুদ্দিন আহমেদের আইনজীবী আহসান উল্লার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি কি প্রস্তুত। প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়বেন। জবাবে আইনজীবী আহসান উল্লা বলেন, এটা পলিটিকাল মামলা। তারা আগে শুরু করুক। জবাবে আদালত বলেন, কোনো মামলা পলিটিকাল মামলা নয়।
এর পর এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের ফোর্স করা হয়েছে। এরপর আবদুর রেজাক খান মামলার প্রথম সাক্ষী সাক্ষ্য পড়া শুরু করেন। ২টায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানিতে অংশ নিতে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত হন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিলের শুনানি শুরু হয়। এ জে মোহাম্মদ আলী একটি সম্পূরক পেপারবুক সরবরাহের জন্য আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেন। ওই আবেদনের বিষয়ে তিনি আদালতকে বলেন, পেপারবুকে (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অনেক তথ্যই নেই। গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি ও কাগজ পেপারবুকে সরবরাহ করা হয়নি বলে আমরা মনে করছি। আমরা মামলা সংশ্লিষ্ট ৮ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নতিপত্রের সংযুক্তি চেয়ে সম্পূরক পেপারবুক চেয়ে আবেদন করেছি। তাই ওইসব নথি ও কাগজ যুক্ত করে একটি সম্পূরক পেপারবুক সরবরাহের আবেদন করছি। আগে এ আবেদনের নিষ্পত্তি করুন।
বড়পুকুরিয়া মামলার শুনানি ১২ আগস্ট: খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি পিছিয়ে আগামী ১২ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল মামলাটির অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার দুই আসামি মো. আমিনুল হক ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর পক্ষে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। বকশীবাজাররে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-২ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ধার্য করেন। খালেদা জিয়া অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন বলে আদালতকে অবহিত করেন তার আইনজীবী সানা উল্লাহ মিয়া। এদিন তিনি খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা প্রদান করেন।



 

Show all comments
  • তামান্না ১৬ জুলাই, ২০১৮, ২:৫৪ এএম says : 0
    কোর্টের কাছ থেকে আমরা সব সময় সঠিক বিচারটাই চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • মাসুদ ১৬ জুলাই, ২০১৮, ২:৫৪ এএম says : 0
    কিছু বলার নেই
    Total Reply(0) Reply
  • রিয়াজ ১৬ জুলাই, ২০১৮, ২:৫৫ এএম says : 0
    আমরা কিছু বললে তো আবার আদালত অবমাননা হয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৬ জুলাই, ২০১৮, ৭:২০ এএম says : 0
    খালেদা জিয়ার মামলা চালাতে গিয়ে তার উকিলরা যেভাবে নানা বাহনা করে একই মামালা চলা কালে বার বার সেটাকে ছোট্ট ছোট্ট কারনে রিভিউ, কিংবা রিভিশন কিংবা রীট করে কাল ক্ষেপন করে মামলা দশ বছর চালিয়ে গেছেন সেই একই ধারায় অন্যান্য উকিলেরাও তাদের বাদী কিংবা বিবাদীকে হয়রানি কররার জন্যে তারিখের পর তারিখ নিচ্ছে। ....................... তাই আমি সর্বউচ্চ আদলতের নিকট প্রার্থনা করবো ওনারা যেন এভাবে ফালতু কাজ করা থেকে উকিলদের বিরত রাখার জন্যে উদ্যোগ নেন যাতে করে আমরা খামখা উকিলদের কারনে সময় নষ্ট নাকরে সুবিচার পেতে পারি এর একটা বিহিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ