বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলতে নামবে ক্রোয়েশিয়া ফুটবল দল। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া ক্রোয়েশিয়ার সামনে এবার সুযোগ বিশ্ব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতে নেয়ার। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার প্রতিপক্ষ ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দেশ ফ্রান্স। বলা বাহুল্য ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপেই নিজেদের ইতিহাসের সেরা সাফল্য পেয়েছে এবারের আসরের দুই ফাইনালিস্ট দল। লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচকে সামনে রেখে আবেগের ঘনঘটা দুই দলেরই ডাগআউটে।
তবে ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক রুকা মদ্রিচের মতে ফাইনাল ম্যাচে আবেগের জায়গা দেয়া যাবে। আবেগ দূরে রেখে পেশাদারিত্বের সাথে খেলতে পারলেই সফলতা পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ৩৩ বছর বয়সী মদ্রিচ। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মদ্রিচ বলেন, ‘আমাদের অতি অবশ্যই আবেগ বাইরে রেখে মাঠে নামতে হবে এবং সবকিছু দিয়ে ম্যাচটা নিজেদের করে নিতে হবে। ফুটবল মাঠের বাইরে ব্যক্তিজীবনটা খুব সহজ ছিল না মদ্রিচের। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বড় হয়েছেন তিনি। ছিলেন রিফিউজি ক্যাম্পেও।
ফাইনালের আগে এসব ভাবতে চান না ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক, ‘আমি অতীত নিয়ে ভাবতে চাই না। যা হয়েছে সব অতীত। আমার জীবনে কঠিন সময় গিয়েছে অনেক। আসল ব্যাপার হচ্ছে হাল না ছাড়া। নিজের স্বপ্ন তাড়া করেই আমি আজ এই পর্যায়ে এসেছি।’ বাছাইপর্বে ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া নিয়ে যখন সংশয় তখন দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জøাতকো দালিচ। আর এখন সেই ক্রোয়েশিয়াকে নিয়েই চলে এসেছেন বিশ্বকাপের ফাইনালে।
দালিচের এই অবদান ভুলতে পারেন না অধিনায়ক মদ্রিচ, ‘দালিচ খুবই কঠিন সময়ে এসেছিল। তখন আমাদের বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া নিয়েই ছিল সংশয়। তবে সে তখন আমাদের বলেছিল নিজেদের প্রতি বিশ্বাস রাখতে কারণ আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।