পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, মাথায় ভারতীয় ঘা ধরেছে। এতে পচন শুরু হয়েছে। একটি দেশকে ধ্বংস করতে হলে তার সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিতে হয়। এখন সেটিই চলছে। নববর্ষ উদযাপনের নামে পহেলা বৈশাখে অপসংস্কৃতি চলছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘আদর্শ নাগরিক আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। ইন্দোনেশিয়ার পর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। গণতন্ত্র বলেন, আর নববর্ষ বলেন মুসলমানদের বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না।
তিনি বলেন, একটি জাতিকে ধ্বংস করতে তার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করলেই হয়। উর্দু সংস্কৃতি এদেশে ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছিলো। পারেনি। বাংলাই আমাদের সংস্কৃতি। কিন্তু এখন? ভারতীয় সংস্কৃতি ঢুকে যাচ্ছে।
এ সময় রিজার্ভ চুরিসহ বেশ কিছু বিষয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। এছাড়া ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা।
ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা (ভারত) সব নেবে। বন্দর নেবে, বিদ্যুৎ নেবে, করিডোর নেবে; কিন্তু বাংলাদেশ কিছুই পাবে না।
রাজপথের পরিবর্তে আন্দোলন এখন হল রুম ও ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে মন্তব্য করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসে আমরা এখন কথা বলছি, সেমিনার করছি। এরপর যে যার মতো বাসায় চলেও যাচ্ছি। অথচ রাজপথের আন্দোলনে কাউকে পাওয়া যায় না। আন্দোলন এখন হল রুম ও ঘরের মধ্যে বসেই হচ্ছে, রাজপথে নয়।
তিনি বলেন, পুলিশ এখন জনগণের সেবক নয়। তারা এক ব্যক্তি ও একটি দলের সেবক হয়ে গেছে। ফলে এক ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে বেপরোয়া আচরণ করছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অনেকে বক্তৃতা করে গলা ফাটিয়ে ফেলেন। নেত্রীর (খালেদা জিয়া) জন্য জান দিয়ে দেন। অথচ নেত্রী যখন গুলশানে অবরুদ্ধ ছিলেন, নেত্রীর খোঁজ নিতে তাদের কাউকেই তখন সেখানে যেতে দেখা যায়নি। যদি শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে এটা হতো, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিনা চ্যালেঞ্জে তা ছেড়ে দিত না।
তিনি বলেন, নেত্রী হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীদের তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। কিন্তু নেত্রীর ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দলের একজন লোকও হেফাজতের পাশে দাঁড়ায়নি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।
‘আদর্শ নাগরিক আন্দোলন’র আহ্বায়ক মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মফিজুর রহমান লিটনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তুফা ভুইয়া, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারী, জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ‘আদর্শ নাগরিক আন্দোলন’র ৫১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ছিলো, আছে থাকবে; তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন; জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনের পরিবর্তে ৪৫০ আসন করা’সহ দেশ ও জাতির উদ্দেশে ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।